সেরেনা। সহজ জয় মেলবোর্নে।
দুই শীর্ষ বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ড নিয়ে গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিশেষজ্ঞরা যা আশঙ্কা করছিলেন, তার অর্ধেক মিলল। বাকি অর্ধেক না। জকোভিচ এই প্রথম স্বামী এবং বাবা হিসেবে অস্ট্রেলীয় ওপেনে নেমে বধির্র্ত পারিবারিক চাপ আর সদ্য ইনফ্লুয়েঞ্জায় ভোগার দুর্বলতা পুরোপুরি কাটাতে না পেরে বেশ কষ্টেশিষ্টে হারালেন বিশ্বের ১১৬ নম্বর বিডেনকে। ৬-৩, ৬-২, ৬-৪। রাতের রড লেভার এরিনায় আবার সেরেনা উইলিয়ামস ফর্মে না থাকার স্নায়ু চাপ আর খারাপ মুড পুরোপুরি সামলে অ্যালিসকে উড়িয়ে দিলেন। ৬-০, ৬-৪। তাও প্রথম সেট মাত্র ২১ মিনিটে।
টেনিসের জোকারের সাতটা গ্র্যান্ড স্ল্যামের প্রথমটা যদি মেলবোর্ন-প্রাপ্ত হয়, ২০১১ থেকে যদি এখানে খেতাবের হ্যাটট্রিক থাকে, তা হলে সেরেনা এখনও পর্যন্ত জীবনের ৫৮ গ্র্যান্ড স্ল্যামে মাত্র একবারই প্রথম রাউন্ডে ছিটকে গিয়েছেন! আর একটা মেজর জিতলেই দুই কিংবদন্তি মার্টিনা-এভার্টের (১৮) গ্র্যান্ড স্ল্যাম নজির টপকাবেন এই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা সেরেনা বলেছেন, “উনিশ নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম যদি অস্ট্রেলীয় ওপেনে জিততে পারি, তা হলে অসাধারণ হবে। দু’হাজার দশের পর থেকে মেলবোর্নে ট্রফি না পাওয়ার দুঃখ ভুলে যাব।” জকোভিচ আবার এ দিন ম্যাচ শেষে কোর্টের ধারে টিভি ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে প্রথমে চিন্তান্বিত ভাবেই বলেন, “এই দু’সপ্তাহ আমার গড়বড়ে স্বাস্থ্য নিয়ে অবশ্যই চিন্তা থাকবে। কিন্তু আমাকেই সমস্যাটা সামলাতে হবে।” এর পর সঞ্চালক তাঁকে গত বছর তাঁর বিয়ে আর বাচ্চা হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে হঠাত্ জকোভিচ খোশমেজাজ! “ওই দুটো ঘটনা আমার জীবনের দু’টো চিরস্মরণীয় ইভেন্ট। বহু দিনের বান্ধবী জেলেনাকে বিয়ে করে আর আমাদের সন্তান স্তেফান আসায় আমি এখন কোর্টে আরও বেশি উদ্দীপনা অনুভব করি। আরও তেতে থাকি।”
দ্বিতীয় দিন কোনও বড় নাম ছিটকে না পড়লেও এ দিনও পুরুষ-মেয়ে মিলিয়ে হাফডজন বাছাইয়ের পতন ঘটেছে। মেয়েদের সিঙ্গলসে তো প্রথম দু’দিনেই ৩২ বাছাইয়ের ১১ জনের বিদায় ঘটল। এ সবের মধ্যে আবার বিতর্কের বাতাবরণ স্থানীয় অস্ট্রেলীয় মাটোসেভিচের কাছে পাঁচ সেটে হারের পর রুশ কোয়ালিফায়ার কুদ্রিয়াভসেভের মন্তব্যে। মেলবোর্নের দর্শকদের ‘জানোয়ার’ বলে মিডিয়ার নজরে তিনি। পরের রাউন্ডে অ্যান্ডি মারের সামনে পড়া মাটোসেভিচ অবশ্য বলেছেন, “পাঁচটা সেটে বড়জোর এক-দু’বার দর্শকেরা ওর সার্ভিসের সময় টিটকিরি দিয়েছেন। আমার তো মনে হয় এখানকার দর্শকেরা বেশ ভদ্রই!”