ইস্টবেঙ্গল ড্রেসিংরুমে প্রথম দিন: হরমনজ্যোৎ খাবরার সঙ্গে ১১ নম্বর জার্সি গায়ে বার্তোস। ছবি: উৎপল সরকার
যুবভারতীতে চব্বিশ ঘণ্টা পরেই বিএনআরের বিরুদ্ধে ম্যাচ। ওই ম্যাচের স্ট্র্যাটেজির পাশাপাশি ডার্বি নিয়েও যে তিনি ভাবছেন, সেটা হঠাৎ-ই প্রকাশ্যে এনে ফেললেন আর্মান্দো কোলাসো।
৩১ অগস্ট মরসুমের প্রথম ডার্বি। ইস্টবেঙ্গলের নতুন আসা নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপার লিও বার্তোসকে পাশে বসিয়ে লাল-হলুদ কোচ বলে দিলেন, “ডার্বি নিয়ে ওর সঙ্গে অনেক কথা হয়েছে। ডার্বির আগে ও তৈরি হয়ে যাবে।” আর বার্তোস? তাঁকে নিয়ে যে এত আলোড়ন হবে সেটা ভাবেননি তিনি। আবেগপ্রবণ বার্তোস বলে দিলেন, “ডুডু সম্পর্কে সে ভাবে ধারণা নেই আমার। তবে র্যান্টি মার্টিন্সের সাফল্যের কথা অনেক শুনেছি। আশা করি, আমরা সবাই মিলে ইস্টবেঙ্গলকে সাফল্য এনে দিতে পারব।”
কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচে হার। চিমা ওকোরির পুলিশের সঙ্গে এগিয়ে থাকা অবস্থায় ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার ফলে সরকারি ভাবে এখনও জয় নেই ইস্টবেঙ্গলের। সে জন্য বিএনআরের বিরুদ্ধে আজ জিততে মরিয়া আর্মান্দো। চিমার টিমের বিরুদ্ধে যে দল খেলেছে সেই দলই তাই অপরিবর্তিত রাখতে চাইছেন তিনি। নতুন আসা বার্তোসের ম্যাচটি যুবভারতীতে বসে দেখার কথা। ইস্টবেঙ্গলে খেলতে আসা নিয়ে বললেন, “পেশাদার ফুটবলারদের কাছে পারফর্যান্সই আসল। বিশ্বকাপ বা ক্লাব ফুটবল, সব ক্ষেত্রেই সেরাটা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকি। কলকাতায় খেলতে আসা আমার কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ।”
শহরে পা দেওয়ার আগেই এ শহরের ফুটবল উন্মাদনার কথা জেনেছেন। পেয়েছেন লাল-হলুদ সমর্থকদের বহু ফেস-বুক মেসেজ। বার্তোস বলছিলেন, “প্রায় তিন বছর আগে নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটন ফিনিক্সের হয়ে দু’টি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে শিলংয়ে এসেছিলাম। সে সময় ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে খুব সামান্য ধারণা তৈরি হয়েছিল। এখন অবশ্য এখানকার ফুটবলে অনেক বদল ঘটে গেছে। ভারত আসলে ফুটবলের স্লিপিং জায়ান্ট।”
ব্রাজিলের রোনাল্ডো এবং নিউজিল্যান্ডের উইন্টন রুফারের ভক্ত বার্তোস অ্যাটাকিং পজিশনেই খেলতে পছন্দ করেন। মে মাসে শেষ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তবে নিয়মিত প্র্যাকটিসের মধ্যে ছিলেন বলেই দাবি করলেন। লাল-হলুদের কাফেটেরিয়া উদ্বোধন উপলক্ষে সোমবারই স্ত্রী রাগেনকে নিয়ে প্রথম ক্লাব-তাঁবুতে আসেন লাল-হলুদের মার্কি ফুটবলার। প্রসঙ্গত, ময়দানে প্রথম এ রকম কফি শপ বা কাফেটেরিয়া চালু হল কোনও ক্লাবে। প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল কর্তা পল্টু দাসের নামে যা উৎসর্গ করা হল। বার্তোস এ দিন ড্রেসিংরুম, ক্লাবতাঁবু সবই ঘুরে দেখেন। দু’দিন হল শহরে পা রেখেছেন। এর মধ্যেই জেনেছেন বাংলার মিষ্টির সুনাম। বাংলার সংস্কৃতি সম্পর্কেও আগ্রহী তিনি।
বার্তোস আসায় বোধহয় সবচেয়ে খুশি র্যান্টি। সোমবার অনুশীলনের পর গোলমেশিন বলছিলেন, “কলকাতা লিগে এখনও কোনও পয়েন্ট পাইনি। আমি ছাড়া দলে আর কোনও বিদেশি নেই। চোট থাকলেও আমার তো একটা দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেটা অস্বীকার করতে পারি না।” কলকাতা লিগে দেড় খানা ম্যাচ খেলে এখনও কোনও পয়েন্ট নেই ইস্টবেঙ্গলের ঝুলিতে। নবনীল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিএনআরের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট পেলে মরসুমে তাই প্রথম জয়ের মুখ দেখবে আর্মান্দোর টিম।
মঙ্গলবারে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ
ইস্টবেঙ্গল : বিএনআর (যুবভারতী ৪-০০)
টালিগঞ্জ অগ্রগামী: সাই (কল্যাণী)
সাদার্ন সমিতি: এরিয়ান (বারাসত)।