বোলিং রোগটা সারাও ভারত, টোটকা লক্ষ্মণের

ব্যাটিং নয়, ‘ঘাতক’ হিসেবে ভারতীয় বোলিংকে চিহ্নিত করে ফেলা। ধবন-বিতর্কে ভারত অধিনায়কের কথাবার্তাকে সম্পূর্ণ সমর্থনের রাস্তায় না যাওয়া। মিচেল জনসন নিয়ে আগাম সাবধানবাণী। বক্সিং ডে টেস্টে নামার আগে ভিভিএস লক্ষ্মণের নোটবুক থেকে ঠিক এগুলোই বেরিয়ে এল। বঙ্গ ক্রিকেটের ‘ভিশন ২০২০’ প্রোজেক্টের দ্বিতীয় দফার কর্মসূচিতে এ দিন যোগ দিলেন লক্ষ্মণ। অবধারিত অস্ট্রেলিয়া-প্রসঙ্গও উঠল। এবং অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতীয় ক্রিকেটের ‘মুকুটহীন সম্রাট’ পরিষ্কার বলে দিলেন, মহেন্দ্র সিংহ ধোনির টিমের ব্যাটিং ঠিক আছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:১১
Share:

ব্যাটিং নয়, ‘ঘাতক’ হিসেবে ভারতীয় বোলিংকে চিহ্নিত করে ফেলা।

Advertisement

ধবন-বিতর্কে ভারত অধিনায়কের কথাবার্তাকে সম্পূর্ণ সমর্থনের রাস্তায় না যাওয়া।

মিচেল জনসন নিয়ে আগাম সাবধানবাণী।

Advertisement

বক্সিং ডে টেস্টে নামার আগে ভিভিএস লক্ষ্মণের নোটবুক থেকে ঠিক এগুলোই বেরিয়ে এল।

বঙ্গ ক্রিকেটের ‘ভিশন ২০২০’ প্রোজেক্টের দ্বিতীয় দফার কর্মসূচিতে এ দিন যোগ দিলেন লক্ষ্মণ। অবধারিত অস্ট্রেলিয়া-প্রসঙ্গও উঠল। এবং অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতীয় ক্রিকেটের ‘মুকুটহীন সম্রাট’ পরিষ্কার বলে দিলেন, মহেন্দ্র সিংহ ধোনির টিমের ব্যাটিং ঠিক আছে। কিন্তু বোলিংয়ের রোগ যত দ্রুত সারিয়ে ফেলা দরকার।

“ব্যাটিংয়ের সমস্যা তো শুধু ব্রিসবেন টেস্টের চতুর্থ দিন হল। সেটা বাদ দিলে দু’টো ইনিংসের তিনটে ইনিংসেই ভাল ব্যাট করেছে ভারত। কোহলি, বিজয়ের নাম আপনারা করছেন। কিন্তু রাহানে থেকে শুরু করে পূজারা, কে রান পায়নি? শিখরও তো ব্রিসবেন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে রান পেল,” বলছিলেন ভিভিএস। “সমস্যা বরং বোলিংয়ে। যত না উইকেট আসছে, তার চেয়ে অনেক বেশি রান বেরিয়ে যাচ্ছে। ওভারপিছু সাড়ে চার-পাঁচ করে বেরিয়ে গেলে আপনাআপনিই ম্যাচ থেকে নিয়ন্ত্রণ আপনার হারিয়ে যাবে। আমি তো বলব, সেটা আগে সারানো উচিত।”

অ্যাডিলেড এবং ব্রিসবেন দু’টো টেস্টেই একটা সময় পর্যন্ত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ছিল ভারত। অ্যাডিলেডে হারলেও সেটা বীরোচিত ছিল। কিন্তু ব্রিসেবেন দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় ব্যাটিং হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার পর হারের ভবিতব্যকে আর পাল্টানো যায়নি। যার পর ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি বলে যান, প্র্যাকটিস পিচে ধবনের চোট পাওয়াতেই সব ওলটপালট হয়ে যায়। ম্যাচ শুরুর দশ মিনিট আগে ভারতীয় টিম জানতে পারে যে, ধবন চতুর্থ দিন ব্যাট করতে যেতে পারবেন না। যার পর অস্থিরতা দেখা দেয় ড্রেসিংরুমে। বিরাট কোহলিও যথেষ্ট সময় পাননি ব্যাট করতে যাওয়ার আগে।

যে বক্তব্যকে পুরোপুরি সমর্থন করতে পারছেন না ভিভিএস। ডনের দেশে চারটে সেঞ্চুরি করা ভিভিএসের মনে হচ্ছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন পরিস্থিতি যে কোনও সময় আসতে পারে। তার জন্য টিমকে প্রস্তুত থাকতে হবে। “মানছি, ভারতীয় টিমের কাছে ওটা একটা বিরাট ধাক্কা ছিল। হয়তো বিরাটও প্রস্তুত ছিল না। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব কিছুর জন্যই প্রস্তুত থাকতে হয়। আর ড্রেসিংরুমের অবস্থা বোঝাতে অস্থিরতা শব্দটা বোধহয় ঠিক নয়,” বলে তাঁর ফের সংযোজন, “ধোনি ড্রেসিংরুমে যা ঘটেছে, সেটা বলেছে। সেটা ঠিক না ভুল, এত দূরে বসে বিচার করা সম্ভব নয়। কিন্তু ব্রিসবেন টেস্ট শিখরের আচমকা না নামতে পারার জন্য হারেনি ভারত। শিখর আগের দিন খুব ভাল ব্যাট করছিল ঠিকই। কিন্তু চতুর্থ দিন সকালে জনসন যে বোলিংটা করল, ওখানেই ম্যাচটা চলে গিয়েছিল। আর তার জন্য আমি রাহানে, রোহিতদের দোষ দেব না। প্রত্যেকটা ভাল বল ছিল। উইকেট নেওয়ার মতো বল ছিল। জনসনকে নিয়ে কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে। তবে এত কিছু মাথায় রেখেও একটা কথা বলব। ভারতীয় ব্যাটিং কিন্তু বেশ ভাল হচ্ছে।”

কিন্তু তার পরেও তো ০-২ পিছিয়ে। এই অবস্থা থেকে কি আর সিরিজে প্রত্যাবর্তন সম্ভব?

“সম্ভব। আমি তো বলব, সিরিজ ড্র রাখাও সম্ভব,” বলে দিলেন লক্ষ্মণ। কারণটাও বললেন। “আসলে দু’টো টেস্টেই ভারত একেবারে উড়ে গিয়েছে, কোনও ভাবে কিন্তু বলা যাবে না। অ্যাডিলেডে ড্রয়ের খেলা ওই অবস্থায় অনেক টিমই খেলতে চাইত। ভারত সেখানে রান তাড়া করার দুর্ধর্ষ মানসিকতা দেখিয়েছে। আর ব্রিসবেনে আমি তো ভেবেছিলাম, অস্ট্রেলিয়াই চাপে পড়বে। স্টিভ স্মিথ আর জনসনের ওই পার্টনারশিপটার আগে ভারতের হাতেই ম্যাচ ছিল। আসলে প্রত্যেক টেস্ট ম্যাচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সময় থাকবে, যা তোমাকে জিততে হবে। ভাবুন তো ব্রিসবেন টেস্টে আমরা যদি আড়াইশোর লিড পেতাম, অস্ট্রেলিয়া এত সহজে জিতত?”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন