দুই ক্লাব। দুই ভিন্ন ছবি। কারও পৌষ মাস কারও সর্বনাশ!
এক দিকে চলছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে হারানোর উৎসব। মরসুমের প্রথম ট্রফি ক্যাবিনেটে তুলে এখন তাঁদের লক্ষ্য ত্রিমুকুট।
আর এক দিকে বিতর্ক আর হতাশা। গত সপ্তাহে তিনটে ম্যাচ হারের পর যাঁদের নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বিশ্ব ফুটবল থেকে কি তিকিতাকার দাপট লুপ্ত হচ্ছে?
কোপা দেল রে ফাইনালের পরে আটচল্লিশ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। তবুও রিয়াল মাদ্রিদের ‘ওয়েলস উইজার্ডের’ বন্দনায় মজে গোটা বিশ্ব। যে তালিকায় যুক্ত হলেন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম মানুষ উসেইন বোল্ট। গ্যারেথ বেলের অবিশ্বাস্য স্প্রিন্ট টেনে গোল করা দেখে মুগ্ধ বোল্ট বলেছেন, “বেল নিজের অবিশ্বাস্য গতির প্রমাণ দিল যখন বিপক্ষের রক্ষণকে স্রেফ গতিতে পিছনে ফেলে বেরিয়ে গেল। কোনও সন্দেহ নেই যে, বেলই এখন বিশ্বের দ্রুততম ফুটবলার।” পরোক্ষে আবার বোল্ট স্বীকার করছেন, নিজের অধরা স্বপ্নের কথা। যা হচ্ছে, কোনও দিন বেলের মতোই একটা গোল করা! “বিশ্বের যে কোনও স্প্রিন্টারেরই ইচ্ছা থাকবে জীবনে এমন একটা স্প্রিন্ট টেনে গোল করার,” বলেছেন বোল্ট।
ফুটবল খেলার আগে কার্ডিফ ইন্সটিটিউটে অ্যাথলেটিক্স করতেন বেল। যে কারণে এত দ্রুত গতিতে বিপক্ষ রক্ষণকে নাস্তানাবুদ করতে পারেন। “ফুটবল খেলার আগে বেল অ্যাথলেটিক্স করত। যা ওকে সাহায্য করে এত দ্রুত গতিতে দৌড়তে,” বলেছেন বোল্ট। বেল আবার কোপা দেল রে ক্যাবিনেটে তুলে এ বার ত্রিমুকুট জয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। বললেন, “তিনটে খেতাবের মধ্যে একটা জিতলাম। এ বার লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর লা লিগা জেতার জন্য সর্বশক্তি লাগিয়ে দেওয়া।”
রিয়ালে যদি ফুরফুরে মেজাজ থাকে, তবে বার্সেলোনায় টেনশনের চোরাস্রোত। প্রথমত, কোপা দেল রে ফাইনালে চোট পেয়ে মরসুমের বাকি ম্যাচে আর মাঠে নামতে পারবেন না নেইমার। এক বার্সেলোনা মুখপাত্র বলেছেন, “নেইমার পায়ের চতুর্থ মেটাটার্সেলে চোট পেয়েছে। এই মরসুমের বাকি চার সপ্তাহ ও আর মাঠে নামতে পারবে না।” দ্বিতীয়ত বার্সায় বিতর্কের আর এক নাম এখন লিও মেসি। ফুটবল রাজপুত্রকে গুঞ্জন— বিশ্বকাপের আগে চোট না পাওয়ার ভয় নিজের একশো শতাংশ দিচ্ছেন না তিনি। প্রায় প্রতিটা স্প্যানিশ দৈনিকের মতে, প্রতিটা ম্যাচেই মেসির আরও অবনতি হচ্ছে খেলার।
শোনা যাচ্ছে, বার্সার নতুন প্রেসিডেন্ট জোসেফ বার্তেমিউ তৈরি ছিলেন মেসিকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি চুক্তি দেওয়ার জন্য। কিন্তু মেসির ধারাবাহিক খারাপ পারফরম্যান্সের পরে ক্লাবের মধ্যেই প্রশ্নচিহ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, আদৌ মেসিকে এত অর্থ দেওয়া ঠিক হবে কি না। যদিও অভাবনীয় ভাবেই মেসির পাশে দাঁড়ালেন রিয়াল তারকা অ্যাঞ্জেল দি মারিয়া। যিনি আবার আর্জেন্তিনায় খেলেন মেসির সঙ্গে। দি মারিয়া বলেন, “সমস্যাটা হচ্ছে, বার্সেলোনা খারাপ খেললেও সব দোষ মেসির উপরেই পড়ে।”