চব্বিশ ঘণ্টা আগেই ব্রিটিশ মিডিয়া থেকে শুরু করে ক্রিকেট মহলে তীব্র জল্পনা ছিল। এবং পরের দিনই আশঙ্কাটা সত্যি হয়ে গেল! ২০১৫ বিশ্বকাপের ইংল্যান্ড দলের নেতৃত্ব থেকেই শুধু নয়। টিম থেকেই বাদ পড়লেন অ্যালিস্টার কুক।
ইসিবি-র নির্বাচন কমিটির বৈঠক শেষের কিছুক্ষণের মধ্যেই ইংল্যান্ড টেস্ট অধিনায়কের অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটিতে আসন্ন পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপে খেলতে না পারার আফসোস ঠিকরে বেরিয়ে এসেছে। “এটা হজম করতে আমার বেশ কিছু সময় লাগবে। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ায় আমি ভীষণ ভেঙে পড়েছি। আমার ইংল্যান্ডের ওয়ান ডে ক্যাপ্টেন থাকার সময় প্লেয়াররা আর সমর্থকদের আমাকে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি। ইয়ন মর্গ্যান আর ওর টিমকে বিশ্বকাপের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি,” বলে দিয়েছেন কুক।
২০১১ থেকে ওয়ান ডে-তে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়া কুক তাঁর পূর্বসূরি সব অধিনায়কের চেয়ে দলকে বেশি ম্যাচ জিতিয়েছেন। গত বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালেও তুলেছিলেন ইংল্যান্ডকে। একটা সময় কিছু দিন কুকের ইংল্যান্ড আইসিসি একদিনের ক্রিকেটের বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষেও ছিল। পাশাপাশি ক্রিসমাসের দিন তিরিশ বছরে পা দিতে চলা কুক শেষ ২২টা ওয়ান ডে ইনিংসে মাত্র একটা হাফসেঞ্চুরি পেরিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে শেষ পাঁচটা ওয়ান ডে সিরিজ টানা হেরেছে ইংল্যান্ড।
বিশেষজ্ঞরাও বিশ্বকাপে কুকের বাদ পড়াকে সমর্থন করেছেন। মাইক সেলভি কলামে লিখেছেন, ‘সঠিক বার্তা। যাকে যে জায়গায় মানায় না! তবে আরও আগে এই সঠিক সিদ্ধান্তটা নেওয়া যেত।’
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হয়েছেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ইয়ন মর্গ্যান। ১৫ জনের দলে আছেন গ্যারি ব্যালান্স। তাঁকেই মনে করা হচ্ছে কুকের পরিবর্ত। চোট থেকে দলে ফিরে এসেছেন দুই প্রধান পেসার জিমি অ্যান্ডারসন আর স্টুয়ার্ট ব্রড। তবে সম্ভবত এখনও এক দিনের ক্রিকেটে সেরা ইংরেজ ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেনকে বিশ্বকাপের জন্যও বিবেচনা করেননি নির্বাচকরা।
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের পনেরো: মর্গ্যান (অধিনায়ক), মইন, অ্যান্ডারসন, ব্যালান্স, বেল, বোপারা, ব্রড, বাটলার (উইকেটকিপার), ফিন, হেলস, জর্ডান, রুট, টেলর, ট্রেডওয়েল, ওকস।