গোলকিপারদের যন্ত্রণার কথা ভাল করেই জানেন তিনি। এক সময় তার নামও ছিল বিশ্বের সেরা ফুটবলারের দৌড়ে। কিন্তু শেষমেষ, হতাশাই জুটেছিল তাঁর কপালে। তিনিইতালির বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার দিনো জফ। যাঁর মতে, এ বারও হয়তো ফিরবে ১৯৭৩ সালের ছবি। অর্থাত্ ব্যালন ডি’অর মঞ্চ থেকে হতাশা নিয়েই ফিরতে হবে আর এক ‘গোলকিপারকে’।
জফ বলেন, “ম্যানুয়েল ন্যয়ার যোগ্য দাবিদার ব্যালন ডি’অর জেতার। কিন্তু ওর জন্য বিশ্বসেরা ফুটবলার হওয়া কঠিন। ওকে মেসি, রোনাল্ডোর মতো ফুটবলারদের হারাতে হবে।” জানুয়ারিতে বিশ্বফুটবলের গ্ল্যামার ইভেন্ট যত এগোচ্ছে, ততটাই আগ্রহ বাড়ছে, ন্যয়ার কি মাত দিতে পারবেন মেসি-রোনাল্ডোকে? ইতিহাস গড়তে পারবেন প্রথম গোলকিপার হিসাবে ব্যালন ডি’অর জিতে? কিন্তু জফ মনে করছেন, গোলকিপাররা শুধু মাত্র বিশ্বফুটবলে নেপথ্যের নায়কই নন। যখন ব্যক্তিগত শিরোপা দেওয়ার সময় আসে, তখনও গোলকিপারদের উপেক্ষা করা হয়। জফ যোগ করেন, “১৯৭৩ সালে আমিও ব্যালন ডি’অর জেতার দৌড়ে ছিলাম। কিন্তু সঙ্গে ছিল জোয়ান ক্রুয়েফও। অবশ্যই ও জিতেছিল সে বার।”
কিন্তু জফের মতে ম্যানুয়েল ন্যয়ারের জেতার কোনও সুযোগ না থাকলেও, তাঁর স্প্যানিশ সতীর্থ জাবি আলোন্সো ফের পাশে দাঁড়ালেন ন্যয়ারের। কিছু দিন আগেই আলোন্সো বলেছিলেন, তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ রোনাল্ডো নয়, ন্যয়ারই যোগ্য দাবিদার বিশ্বসেরা হওয়ার। এ বার ফের নিজের সতীর্থের সমর্থনে আলোন্সো বলেন, “কোনও সন্দেহ নেই আমি যে দলগুলোর হয়ে খেলেছি তার মধ্যে সবথেকে ভাল গোলকিপার ন্যয়ার।”
আলোন্সো যাই বলুক না কেন, ন্যয়ার নিয়ে ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে যুদ্ধ লেগে গিয়েছে স্পেন ও জার্মানির। এক দিকে স্পেনের দাবি, ব্যালন ডি’অর জেতা হয় ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। আর এটা পরিষ্কার, রোনাল্ডো খুব সহজেই টেক্কা দিয়ে যেতে পারবেন বাকি দুই ফুটবলারকে। যাঁর বিশ্বকাপ ছেড়ে স্বপ্নের মরসুমে কেটেছে গত বার। কিন্তু পাল্টা আবার জার্মান দৈনিকগুলো বলে, এক সময় যে দেশ বিশ্বকাপ জিতত তার থেকেই সেরা ফুটবলারকে ব্যালন ডি’অর দেওয়া হত। কারণ বিশ্বকাপের উপরে আর কোনও ট্রফি নেই। তা হলে সেই যুক্তিতে এ বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি দলের অন্যতম নায়ক ন্যয়ারকেই বিশ্বসেরা ফুটবলারের সিংহাসনে বসতে দেওয়া হোক।
কে কাকে টেক্কা দেবে, তা সময়েই বলবে।