নতুন বছরের শুরুতেই বিরাট ধাক্কা খেল ‘ব্লু আর্মি’। নববর্ষের দিনই ইপিএলের লন্ডন ডার্বিতে পাঁচ গোল হজম করতে হল মোরিনহোর চেলসিকে। বৃহস্পতি-রাতে হোয়াইট হার্ট লেনের অ্যাওয়ে ম্যাচে টটেনহ্যামের কাছে ৩-৫ গোলে বিধ্বস্ত হলেন ইডেন হ্যাজার্ডরা। তাও আবার দিয়েগো কোস্তার গোলে নিজেরা ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে গিয়েও।
প্রিমিয়ার লিগে মরসুমে দ্বিতীয় হারের পর পয়েন্ট টেবিলে অবশ্য ম্যাঞ্চেস্টার সিটির সঙ্গে যুগ্ম ভাবে শীর্ষে রইল চেলসি। ২০ ম্যাচের পর দু’দলেরই পয়েন্ট ৪৬। দু’দলের গোলপার্থক্যও সমান (২৫)।
গত রাতে অপ্রত্যাশিত হারের পর মোরিনহো দুষেছেন ম্যাচের রেফারি ফিল ডডকে। “গোটা ম্যাচ টটেনহ্যাম ডিফেন্স মেরে গেল হ্যাজার্ডকে। রেফারি কিছুই দেখলেন না। এ রকম চললে তো কয়েক দিনের মধ্যেই হ্যাজার্ড ইপিএলের বাইরে চলে যাবে চোট পেয়ে!” রেফারির প্রতি ফুটবল দুনিয়ার ‘স্পেশ্যাল ওয়ান’-এর বিষোদগারের এখানেই শেষ নয়। মোরিনহোর দাবি, তাঁর দল ১-০ এগিয়ে থাকায় সময়ই টটেনহ্যাম বক্সে বল লেগেছিল ফের্তোনেনের হাতে। সেটাও চোখ এড়িয়ে যায় রেফারির।
ঘরের মাঠে শুরুতে পিছিয়ে গেলেও প্রথমার্ধেই ম্যাচে দারণ ভাবে ফেরে টটেনহ্যাম। ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের ফরোয়ার্ড হ্যারি কেন সমতায় ফেরানোর পর প্রথমার্ধেই ড্যানি রোজ ও আন্দ্রোস টাউনসেন্ডের পেনাল্টিতে ৩-১ এগিয়ে যায় মরসিও টটেনহ্যাম। এর পর পাল্টা লড়াইয়ে ফেরার বদলে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতে না হতেই ফের হ্যারি কেনের গোলে ১-৪ পিছিয়ে পড়ে চেলসি। এর পর হ্যাজার্ড একক প্রচেষ্টায় ২-৪ করলেও ফের নাসের চ্যাডলি ব্যবধান বাড়ান টটেনহ্যামের। ম্যাচের অন্তিম লগ্নে চেলসির সান্ত্বনা গোল জন টেরির।