বারবার চিঠি দিয়েও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় আইনি রাস্তায় হাঁটার দিকে এগোচ্ছে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। সারদা কাণ্ডের জেরে দুই প্রধানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে দিয়েছে ইডি। ফুটবলারদের বেতন-সহ ক্লাবের খরচ চালাতে গিয়ে তীব্র সমস্যায় কর্তারা। আদালতে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই তাঁদের। এটা ধরে নিয়েই মঙ্গলবার আইএফএ-র সঙ্গে আলোচনায় বসেন দুই প্রধানের কর্তারা। মধ্য কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে। সভা চলে মিনিট চল্লিশ। আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে হাজির ছিলেন মোহনবাগানের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত, ইস্টবেঙ্গলের সহ-সচিব শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত, হিসাবরক্ষক তপন দাস এবং কোষাধ্যক্ষ দেবদাস সমাজদার। সভা করলেও এমনিতে আইএফএ-র এ ব্যাপারে কিছু করার নেই। ফেডারেশনকে চিঠি দেওয়া ছাড়া। ফেডারেশন সচিব কুশল দাস আগেই বলেছিলেন, “ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান আমাদের কাছে সাহায্য চাইলে আমরা রাজি আছি।”
ফেডারেশনকে চিঠি দেওয়ার কারণ অবশ্য অন্য। ফুটবলারদের পেমেন্ট বন্ধ। কেউ মাইনে না পেয়ে অভিযোগ করলে যাতে বিপদে পড়তে না হয়। এএফসি-র লাইসেন্সিং বাতিল না হয়। এ দিন উৎপলবাবু দুই প্রধানের কর্তাদের বলেন সব রকম সাহায্য করবেন। “দুই প্রধান চিঠি দিলে সরকারি ভাবে ওদের জন্য কিছু করতে পারব।” সভা থেকে বেরিয়ে এক ক্লাব কর্তা বললেন, “আইএফএ-র উদ্যোগ ভাল। পাশে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু ওরা কি করবে? আমরা আদালতে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করছি। না হলে আদালতে গেলে প্রশ্ন তোলা হতে পারে পেরেন্ট বডির কাছে না গিয়ে এখানে কেন?”
ইস্টবেঙ্গলের চেয়েও বেশি সমস্যা মোহনবাগানের। লাল-হলুদের প্রায় সব ফুটবলারই আইএসএল খেলছেন। ’১৫ জানুয়ারির আগে তাদের মাইনে দিতে হবে না। কিন্তু মোহনবাগানের চার বিদেশি-সহ অন্তত ষোলো জনের মাইনে বাকি। ফুটবলারদের তাগাদার হাত থেকে বাঁচতে অনুশীলনেও ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইএসএল শেষ হলেই ফেড কাপ শুরু। তার পরই আই লিগ। ইস্টবেঙ্গল আবার এএফসি কাপও খেলবে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে চায় দুই প্রধান।