মাঙ্কিগেট নিয়ে ভারতকে ‘ধাপ্পাবাজ’ বলছেন বর্ডার

সচিন তেন্ডুলকর আত্মজীবনীতে ২০০৭-০৮ অস্ট্রেলিয়া সফরের ‘মাঙ্কিগেট’ অধ্যায় নিয়ে আরও এক বার হরভজন সিংহের পাশে দাঁড়ানোর কয়েক দিনের মধ্যেই পাল্টা দিলেন অ্যালান বর্ডার। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অধিনায়কও বই বের করছেন। এবং ওই ঘটনা সম্পর্কে লিখেছেন, “আমাদের সেই সময়েই ভারতের ধাপ্পাবাজি ফাঁস করে দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু একটা বড় ধরনের বাণিজ্যিক লোকসানের কথা মাথায় রেখে আইসিসি-র সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হয়েছিল আমাদের।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সিডনি শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৪ ০২:০০
Share:

সচিন তেন্ডুলকর আত্মজীবনীতে ২০০৭-০৮ অস্ট্রেলিয়া সফরের ‘মাঙ্কিগেট’ অধ্যায় নিয়ে আরও এক বার হরভজন সিংহের পাশে দাঁড়ানোর কয়েক দিনের মধ্যেই পাল্টা দিলেন অ্যালান বর্ডার। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অধিনায়কও বই বের করছেন। এবং ওই ঘটনা সম্পর্কে লিখেছেন, “আমাদের সেই সময়েই ভারতের ধাপ্পাবাজি ফাঁস করে দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু একটা বড় ধরনের বাণিজ্যিক লোকসানের কথা মাথায় রেখে আইসিসি-র সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হয়েছিল আমাদের।”

Advertisement

এ দিন বর্ডারের বইয়ের প্রকাশিত নির্বাচিত অংশে তিনি দাবি করেছেন, ওই ঘটনায় অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের প্রতি অবিচার করা হয়। কিংবদন্তি অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান নিজে ‘মাঙ্কিগেট’-এর সময় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া-র কর্তা ছিলেন। তিনি লিখেছেন, “ওই সময় স্রেফ নিজেদের স্বার্থ দেখতে গিয়ে আমরা অ্যান্ড্রুকে টাঙিয়ে দিয়েছিলাম। আমার নিজের অসম্ভব রাগ হয়েছিল। মনে হয়েছিল, এটা অন্যায় হচ্ছে। মাঠে অবশ্যই এমন কিছু হয়েছিল যা চরম আপত্তিকর।”

সচিন নিজের বইয়ে লিখেছেন, হরভজনের বিরুদ্ধে সাইমন্ডসকে ‘বাঁদর’ বলার অভিযোগ ও বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের দায়ে তাঁকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে ভারত সফর মাঝপথেই ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল। তবে বর্ডার লিখেছেন, সবটাই ছিল ভারতের অন্যায় ভাবে আইসিসি এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার উপর চাপ তৈরির চেষ্টা। “আমার নিজের ভেতরটা ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছিল। ক্রিকেটার হিসাবে আমি সাইমন্ডসের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ভারত ওই সময় দেশে ফিরে গেলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আর্থিক ক্ষতি এত বিশাল হত যে সেই ধাক্কা সামলানো যেত না। চ্যানেল নাইন আমাদের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের মামলা করত। যা সামলাতে আমাদের হয়তো ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করতে হত। সব মিলিয়ে আর্থিক ক্ষতির চিন্তাটাই নীতি, মূল্যবোধ সব জলাঞ্জলি দিয়ে আমাদের পিছিয়ে আসতে বাধ্য করে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন