ম্যাড-মারিওর জন্য কড়া ওষুধ তৈরি রাখছেন লিভারপুল কোচ

বাথরুমে বাজি ফাটানো? চলবে না। অন্য ক্লাবের সাংবাদিক সম্মেলনে ঢুকে পড়া? একেবারেই নয়। কোচের সঙ্গে হাতাহাতি? বরদাস্ত করা হবে না।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৪ ০৩:২৬
Share:

ম্যান সিটি কোচের সঙ্গে প্রকাশ্য ঝামেলার সেই ছবি। লিভারপুল যার পুনরাবৃত্তি চায় না।

বাথরুমে বাজি ফাটানো? চলবে না।

Advertisement

অন্য ক্লাবের সাংবাদিক সম্মেলনে ঢুকে পড়া? একেবারেই নয়।

কোচের সঙ্গে হাতাহাতি? বরদাস্ত করা হবে না।

Advertisement

লিভারপুল জার্সির সঙ্গে এ রকম কড়া নিয়মের শেকলও অপেক্ষা করছে মারিও বালোতেলির জন্য। আধুনিক ফুটবলের অন্যতম বিতর্কিত চরিত্রকে সই করানোর কথা ভাবছেনই না, জোর দিয়ে বলার তিন সপ্তাহের মধ্যে লিভারপুল কোচ ব্রেন্ডন রজার্স জানিয়ে দেন, মিলানের ১৬ মিলিয়ন পাউন্ডের প্রস্তাব নাকচ করা মোটেও ঠিক হবে না। তবে ইতালীয় স্ট্রাইকার যে আচার-ব্যবহারের ক্ষেত্রে লাগামহীন স্বাধীনতা পাবেন না, সেটা পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন রজার্স। সাফ বলে দিয়েছেন, বালোতেলির চুক্তিতে আচার-ব্যবহার নিয়ে কড়া ‘ক্লজ’ রাখা হচ্ছে। সেগুলো না মানলে ইপিএলে প্রত্যাবর্তন ঘটাতে পারবেন না প্রাক্তন ম্যাঞ্চেস্টার সিটি তারকা।

বালোতেলির এজেন্ট মিনো রাইওলার সঙ্গে কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে লিভারপুল। কিন্তু ট্রান্সফারের আগে বালোতেলির সঙ্গে কয়েকটা ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করা বাকি। ইতালীয় স্ট্রাইকার যেমন সপ্তাহ-পিছু এক লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড দাবি করেছেন। যা দিতে রাজি নয় লিভারপুল। তবে তার চেয়েও বেশি করে রজার্স চিন্তিত বালোতেলির বিতর্কিত ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা নিয়ে। বালোতেলির কেরিয়ারের দিকে এক ঝলক দেখলেই লিভারপুল ম্যানেজারের চিন্তার কারণ স্পষ্ট হয়ে যাবে। ঘটনাবহুল ফুটবলজীবনে প্রায় সব ক্লাবের সব ম্যানেজারের সঙ্গেই বিতর্কে জড়িয়েছেন বালোতেলি। ইন্টারন্যাশিওনালে তাঁর কোচ হোসে মোরিনহো যেমন বলেছিলেন, সুপার মারিওকে “ম্যানেজ করা অসম্ভব”। ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে খেলার সময় সিটি কোচ রবার্তো মানচিনির সঙ্গেও শান্তি বজায় রাখতে পারেননি বালোতেলি। দেশের জার্সিতেও বদলায়নি তাঁর মেজাজ। ইউরো ২০১২-র পর ব্রাজিল বিশ্বকাপেও জাতীয় কোচ সিজার প্রান্দেলির সঙ্গে ঝামেলা করে বসেন। সিটির জার্সিতে আড়াই মরসুমে চার বার মাঠ থেকে বার করে দেওয়া হয় বালোতেলিকে। নির্বাসনের জন্য ১১ ম্যাচ বাইরে থাকায় দু’সপ্তাহের বেতন জরিমানা করা হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেন বালোতেলি।

কেরিয়ারের এই সময় বালোতেলি মাঠের আচরণ একেবারে বদলে ফেলবেন, এতটা আশা করছেন না রজার্স। কিন্তু তিনি চান ট্রেনিংয়ে এবং মাঠের বাইরে যেন অভব্য ব্যবহার না করেন ইতালীয় স্ট্রাইকার। এই দুটো ক্ষেত্রে প্লেয়ারদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতা দাবি করেন লিভারপুল কোচ। লুই সুয়ারেজের মতো বিতর্কিত চরিত্রের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে রজার্সের। তাই মনে করা হচ্ছে, বালোতেলিকে সামলাতে খুব সমস্যায় পড়বেন না তিনি। সামনের উইকএন্ডে অ্যানফিল্ডে আসছেন বালোতেলি। নতুন ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি তখনই চূড়ান্ত হবে বলে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন