ফুটবলের ‘বডিলাইন’-এ আক্রান্ত নেইমার। ছবি: রয়টার্স।
বিশ্বকাপের ঘণ্টা বাজার আগেই ছন্দে ব্রাজিল। অবিশ্বাস্য ফ্রি-কিক থেকে শুরু করে চোখ ধাঁধানো ফুটবল, প্রস্তুতি ম্যাচে সব কিছুই উপহার দিল লুই ফিলিপ স্কোলারির দল। কিন্তু পাশাপাশি আতঙ্কও থাকছে ব্রাজিল সমর্থকদের জন্য। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচের পরই একটা জিনিস পরিষ্কার বিপক্ষের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় এক নম্বরে রয়েছেন নেইমার।
মঙ্গলবার রাতের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ঘরের মাটিতে ব্রাজিল ৪-০ হারাল পানামা-কে। স্কোরারের তালিকায় ছিলেন নেইমার, দানি আলভেজ, হাল্ক ও উইলিয়ান। তবুও পুরো নব্বই মিনিট বিপক্ষ ডিফেন্ডারদের থেকে পা বাঁচিয়ে খেলতে হল ব্রাজিল দলের অন্যতম অস্ত্রকে। কোনও সময় দুই পায়ের ট্যাকল তো কোনও সময় আবার কনুইয়ের গুঁতো, সব কিছুতেই লেখা ছিল নেইমারের নাম।
পানামার ছকে ব্রাজিলীয় ওয়ান্ডারকিডকে শ্যাডো মার্ক করেন দুই সেন্টার ব্যাক বালয় ও তোরেস। এ ছাড়া পানামার মাঝমাঠের ফুটবলাররাও নেমে এসে আটকানোর চেষ্টা করেন নেইমারকে। কিন্তু মার খেলেও নিজের প্রতিভার নিদর্শন ঠিক রেখে গেলেন ব্রাজিল তারকা। প্রায় একাই নাস্তানাবুদ করলেন পানামাকে। কখনও দু’তিনজনকে এক সঙ্গে ড্রিবল করে। আবার কখনও স্রেফ গতিতে বিপক্ষকে নাজেহাল করে। শুরুতে নেইমারের অবিশ্বাস্য ফ্রি-কিকের সৌজন্যেই ১-০ এগোয় ব্রাজিল। যা বিপক্ষ দেওয়াল ভেঙে ল্যান্ড করে সোজা টপ কর্নারে। গোল যেমন করলেন তেমন আবার সাজালেনও। তাঁর পাসেই হাল্ক গোল করে ৩-০ করেন।
ব্রাজিলের জয়ে সন্তুষ্ট কোচ লুই ফিলিপ স্কোলারি। গত রবিবার অনুশীলনে ফুটবলারদের যিনি ‘জঘন্য’ তকমা দিয়েছিলেন, সেই ‘বিগ ফিল’ মনে করছেন আস্তে আস্তে উন্নতি করছেন নেইমাররা। “পানামার সঙ্গে খেলা দেখে আমি খুব খুশি। রবিবারের থেকে পরিস্থিতি অনেকটা পাল্টেছে। ফুটবলাররা অনেকটা উন্নতি করেছে। বিপক্ষকে যদি প্রতিআক্রমণের সুযোগ না দিই আমরা, তবে আরও গোল করতে পারব।” পাশাপাশি ম্যাচের সেরা পারফরম্যান্স করলেও নেইমার জানালেন যে একশো শতাংশ ফিট নন তিনি। মরসুম শেষে বার্সেলোনা জার্সিতে যে চোট পেয়েছিলেন তার রেশ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। “অনেকটা ভাল আছি। ম্যাচের শেষের দিকে একটু হাফিয়ে উঠেছিলাম। বিশ্বকাপের আগে পুরোপুরি ফিট হয়ে যাব,” আশ্বাস দিচ্ছেন নেইমার।