দেশকে ফাইনালে তুললেও একচুলের জন্য কাপ এনে দিতে পারেননি। তা সত্ত্বেও আর্জেন্তিনা ফেরা ইস্তক লিওনেল মেসির দলকে দেশবাসী যে উষ্ণ আবেগ-অভ্যর্থনায় ভাসিয়ে দিয়েছে, তার জন্য অসংখ্য আর্জেন্তিনীয় সমর্থককে ফেসবুকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন স্বয়ং এলএম টেন। সঙ্গে আগামী দিনে আর্জেন্তিনা ফুটবল দলের জন্য নিজের শপথের কথাও বলেছেন মেসি।
“বিশ্বকাপ শেষ করে দেশে ফেরার পর থেকে সমস্ত আর্জেন্তিনীয় যে ভাবে আমাদের দলকে অকুন্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন তার জন্য আমি প্রত্যেক আর্জেন্তিনীয় সমর্থককে ধন্যবাদ জানাতে চাই,’ বলে মেসি আরও যোগ করেছেন, “এটা দেখে সত্যিই অসাধারণ অনুভূতি হচ্ছে যে, ব্রাজিল বিশ্বকাপে আমাদের টিমগেম গোটা আর্জেন্তিনাকে এত উত্তেজনা জুগিয়েছে!” এর পরেই মেসির শপথ, “এ বার আমাদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ। আগামী দিনেও আর্জেন্তিনা দলের প্রতি আগের মতোই সমান দায়বদ্ধতা নিয়ে আমি সেই সব নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করব।”
ফাইনালে জার্মানির কাছে ১১৩ মিনিটের গোলে ০-১ হারকে “ভীষণ দুঃখের” বলে মেসি অবশ্য সঙ্গে যোগ করেছেন, “তবে আর্জেন্তিনা ফুটবল যে জায়গায় যোগ্য বিশ্বকাপে দেশকে সেই ফাইনালে তুলে নিয়ে যেতে পারায় আমরা একই সঙ্গে সেই দলের ফুটবলার হিসাবে গর্ববোধও করছি।” মেসি স্পেনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আয়করদাতা (৫ কোটি ৩০ লক্ষ ইউরো) হওয়ার এক অন্য রেকর্ড করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনার পারফরম্যান্স নিয়ে নিজস্ব অনুভূতি ফেসবুকে পোস্ট করেন। তাঁর জীবনী ‘মেসি’ বইটির লেখক তথা স্প্যানিশ সাংবাদিক গুলেম বালাগ আবার মেসি সম্পর্কে এ দিন নিজের কলামে লিখেছেন, “বার্সেলোনায় জেরার্দো মার্টিনোর কোচিংয়ে মেসির যে অবস্থা ছিল, এ বার বিশ্বকাপে সাবেয়ার আর্জেন্তিনা টিমে প্রায় সে রকমই অবস্থা ছিল ওর। বার্সায় পেপ গুয়ার্দিওলা আর তিতো ভিলানোভার কোচিংয়ে মেসির সেরা পারফরম্যান্স। সেই সময় বিপক্ষের পেনাল্টি বক্সের কুড়ি মিটার দূরে ওর আক্রমণ শুরু হত। কিন্তু মার্টিনোর অধীনে গত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ও মোট যা দৌড়েছে বিশ্বকাপেও প্রায় সমান পরিমাণই দৌড়েছে। যথাক্রমে ৮.২২ কিলোমিটার আর ৮.১৫ কিলোমিটার। পেপ আর তিতোর আমলে মেসি সতীর্থদের থেকে যত পাস পেত, গত বছর মার্টিনোর বার্সায় আর বিশ্বকাপে তার চেয়ে কম পাস পেয়েছে। সোজা কথায়, গত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ক্লাব আর এ বার বিশ্বকাপে দেশের হয়ে মেসির পারফরম্যান্স প্রায় সমান-সমানই।”