মন বলছে ভারত

ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা মাঠে দারুণ একটা ম্যাচ হতে চলেছে! এই মাঠেই বিশ্বকাপ উদ্বোধনী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড নেমেছিল নব্বই হাজার দর্শকের সামনে। আজ রবিবার দুপুরেও গ্রুপের সেরা দুটো টিমের যুদ্ধ দেখতে হাউসফুল হয়ে যাবে।

Advertisement

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:৫২
Share:

আজও প্রধান ভরসা বিরাট

ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা মাঠে দারুণ একটা ম্যাচ হতে চলেছে! এই মাঠেই বিশ্বকাপ উদ্বোধনী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড নেমেছিল নব্বই হাজার দর্শকের সামনে। আজ রবিবার দুপুরেও গ্রুপের সেরা দুটো টিমের যুদ্ধ দেখতে হাউসফুল হয়ে যাবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ শনিবার পাকিস্তানকে হারিয়ে দেওয়ায় এই গ্রুপের লড়াইটা খুলে গিয়েছে। গ্রুপ থেকে এক নম্বর কারা হবে, রবিবারের ম্যাচটা সেটা ঠিক করে দিতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে এটাই বিশ্বকাপে ওদের প্রথম সত্যিকারের পরীক্ষা। আগের ম্যাচটায় জিম্বাবোয়ে কিন্তু ওদের ভয় পাইয়ে দিয়েছিল। ম্যাচটা জেতার কাছাকাছিই শুধু চলে যায়নি, দক্ষিণ আফ্রিকান বর্মের কয়েকটা ফাটলও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল। যেগুলো এই টুর্নামেন্টে বাকি টিমও কাজে লাগাতে চাইবে।

Advertisement

জাক কালিসের অবসরে টিমে বড় একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। ওর বদলি খুঁজে পাওয়াটা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বেশ কঠিন হবে। সব সময় তো কালিসের মতো প্লেয়ার পাওয়া যাবে না। কিন্তু বেহেরাদেন যখন সাতে ব্যাট করতে নামবে বা যখন কয়েক ওভার বল করতে আসবে, তখন যে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে আশা বাড়বে, সেটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। অতীতে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যর্থ সব কাপ অভিযানের কথা মনে করে দেখুন। প্রতি বার ওদের স্কোয়াডে অসাধারণ ভারসাম্য ছিল। যেটা এ বার চোখে পড়ার মতো অনুপস্থিত। ওরা ইমরান তাহিরকে তো খেলাবেই। যে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। তাই ওদের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তাহির, দুমিনি আর বেহেরাদেন মিলে কুড়িটা ওভার বল করবে এই উপলব্ধি হওয়ামাত্র যে কোনও বিপক্ষ জয়ের স্বপ্ন দেখবে। রবিবারও যদি দক্ষিণ আফ্রিকা একই কম্বিনেশন খেলায়, তা হলে ভারতকে সেটার ফায়দা তুলতেই হবে। শুনছি পার্নেল একটা সুযোগ পেতে পারে। কিন্তু সাতে পার্নেল নামলে তাতে ব্যাটিং গভীরতা আরও কমবে। ম্যাচের শুরুতেই এই ধাঁধার উত্তরটার ফয়সালা করে ফেলতে হবে।

সবিস্তার জানতে ক্লিক করুন।

Advertisement

ভারতের হাতেও তেমন বিকল্প নেই। তবে ইতিহাস বলছে, জয়ী টিমে ধোনি কোনও বদল করে না। তা ছাড়া পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রায় নিখুঁত ওই ম্যাচটার পর টিমে বদলের সুযোগ আছে বলেও মনে হয় না। বিশ্বকাপের আসল পরীক্ষা কারা কারা সামলাতে পারবে, সেটা যাচাই করে নেওয়ার সেরা সুযোগ এই ম্যাচটা। ত্রিদেশীয় সিরিজে অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডের (যারা অনেকটাই দক্ষিণ আফ্রিকার মতো টিম) বিরুদ্ধে ভারতের ফর্ম বেশ খারাপ ছিল। তাই বলছি, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় সত্ত্বেও এই ম্যাচটাই টিম ইন্ডিয়ার কাছে সত্যিকারের পরীক্ষা। টিমের ভারসাম্য তো ভালই দেখাচ্ছে। তবে পরিকল্পনাগুলো মাঠে কী ভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে, সেটাই আসল। আপাতত এ বার বিশ্বকাপে যে ক’টা দিন-রাতের ম্যাচ হয়েছে, সব ক’টারই গল্প ছিল টস জেতো, ম্যাচ জেতো। রবিবার তাই দুটো টিমই আগে ব্যাট করতে চাইলে আমি অবাক হব না। কারণ ট্র্যাকটা একদম রান-স্বর্গ হবে। ম্যাচের চাবিকাঠি যে দু’জনের কাছে থাকবে তারা হল কোহলি আর এবি ডে’ভিলিয়ার্স। দুই অধিনায়ককেই তাই বলব, এই দু’জনকে শুরুতেই অ্যাটাক করো। উইকেট নাও। না হলে এই দুইয়ের মধ্যে যে তিরিশটা ওভার ব্যাট করে দেবে, সে কিন্তু ম্যাচ নিয়ে চলে যাবে।

তবে যা-ই হোক না কেন, আমার মন বলছে এই দক্ষিণ আফ্রিকা টিমকে হারানোর ক্ষমতা ভারতের আছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন