লাজিওকে দু’গোল দেওয়ার ম্যাচেও আমি টেনশন করিনি

নতুন মরসুমের আবাহন-পক্ষেই দুই প্রধানের একে অন্যকে টেক্কা দেওয়ার লড়াই চলছে! ইস্টবেঙ্গলে ডুডুর সইয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মোহনবাগান হাজির করে দিল তাদের ‘আইকন’ ফুটবলার ক্যামেরুনের পিয়ের বোয়া-কে। ময়দানে পা রাখার আগে যিনি ক্লাব প্রেসিডেন্টের হাঙ্গারফোর্ড স্ট্রিটের বাড়িতে। সেখানেই বুধবার সন্ধেয় আনন্দবাজারের মুখোমুখি রজার মিল্লার দেশের ফুটবলার।

Advertisement

দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৪ ০৩:১৫
Share:

শহরে পা দিয়ে রজার মিল্লার দেশের বোয়া। বুধবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস

নতুন মরসুমের আবাহন-পক্ষেই দুই প্রধানের একে অন্যকে টেক্কা দেওয়ার লড়াই চলছে! ইস্টবেঙ্গলে ডুডুর সইয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মোহনবাগান হাজির করে দিল তাদের ‘আইকন’ ফুটবলার ক্যামেরুনের পিয়ের বোয়া-কে। ময়দানে পা রাখার আগে যিনি ক্লাব প্রেসিডেন্টের হাঙ্গারফোর্ড স্ট্রিটের বাড়িতে। সেখানেই বুধবার সন্ধেয় আনন্দবাজারের মুখোমুখি রজার মিল্লার দেশের ফুটবলার।

Advertisement

প্র: কলকাতায় স্বাগত।

Advertisement

বোয়া: ধন্যবাদ। (হাসতে হাসতে) এখানেও চলে এলেন! আপনাদের শহরটা কিন্তু বেশ! রাস্তায় প্রচুর লোক। অনেকটা আমাদের দেশের মতো। গাড়ি চালাতে প্রথম প্রথম বেশ সমস্যায় পড়তে হবে মনে হচ্ছে।

প্র: এই গাট্টাগোট্টা সাড়ে ছ’ফুট চেহারাটাই কি মাঠে আপনার ইউএসপি?

বোয়া: ফ্রেন্ড, আমি কুস্তিগির বা বক্সার নই। ফুটবলার। যে খেলাটায় শরীরের সঙ্গে মস্তিষ্কও লাগে। মাঠে সেই দু’টোকেই কাজে লাগিয়ে খেলতে পছন্দ করি। কোনটা আমার ইউএসপি সেটা না হয় মরসুম শেষে বিচার করবেন।

প্র: উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সার্বিয়ার পার্টিজানের জার্সিতে ইতালির লাজিও-র বিরুদ্ধে জোড়া গোল রয়েছে আপনার। সেই বোয়া মোহনবাগানে কেন? বয়স তিরিশে পা দিয়েছে বলে কি?

বোয়া: দীর্ঘ দিন ধরে খেলছি এটা ঠিক। কিন্তু ফুরিয়ে যাইনি। বরং এটা নতুন চ্যালেঞ্জ। মোহনবাগানে সেই চ্যালেঞ্জে আমার সঙ্গী— অভিজ্ঞতা আর ভাল পারফরম্যান্সের তাগিদ।

প্র: ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে কোনও ধারণা?

বোয়া: খুব কম। তবে জানি, মোহনবাগানের আমন্ত্রণেই এই শহরে খেলে গিয়েছেন আমার দেশের ফুটবল কিংবদন্তি রজার মিল্লা।

প্র: কিন্তু ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি? নাকি সেটার ধারণাও খুব কম?

বোয়া: (মাথা নাড়তে নাড়তে) ম্যাচটায় প্রচুর-প্রচুর দর্শক হয় সেটা শুনেছি!

প্র: ওই ডার্বিটা কিন্তু পঁচিশ দিন পরেই। ওই ম্যাচে গোল করলে আপনি সটান সবুজ-মেরুনের হৃদয়ে ঢুকে পড়বেন।

বোয়া: তাই নাকি?

প্র: টেনশন শুরু হয়ে গেল কি?

বোয়া: টেনশন কেন? আপনি যে লাজিও ম্যাচের কথা বলছিলেন, রোমের দর্শক ঠাসা অলিম্পিক স্টেডিয়ামে দশ বছর আগে সেই ২-২ ম্যাচে খেলার সময়ও টেনশন হয়নি। আর সবে তো কলকাতায় এলাম। ডার্বি নিয়ে যা বলার পরে বলব।

প্র: আপনার টিডি ভারতের সর্বোচ্চ খেতাব আই লিগ তিন বার জিতেছেন। জানেন?

বোয়া: না শুনিনি। তবে আজ পর্যন্ত যত কোচের সঙ্গে কাজ করেছি তাঁরা সবাই আমাকে ‘গুড বয়’ বলেছেন। আশা করি উনিও বলবেন।

প্র: ভিসা সমস্যায় আসতে দেরি হল। আপনার নতুন ক্লাব ঘরোয়া লিগ শুরু করছে ছ’দিন পরেই। ম্যাচ ফিট হয়ে উঠতে পারবেন সময় মতো?

বোয়া: পেশাদার ফুটবলার হিসেবে এটাই তো চ্যালেঞ্জ। দেখুন না কী হয়!

প্র: চার বছর কোনও ট্রফি পায়নি মোহনবাগান। এ বার আপনি, হাইতির সোনি নর্ডি, জাপানের কাতসুমি, নাইজিরিয়ার ফাতাই— ট্রফি আসবে?

বোয়া: ব্যস? আরও সাত জন তো রয়েছে! সমর্থকরাও সারা বছর আমাদের পাশে থাকলে পারফরম্যান্স এমনিই ভাল হবে। মিল্লার একটা কথা মেনে চলি— মাঠে সবাই সমান। কেউ বড় নয়। রাত পোহালেই প্র্যাকটিসে যাচ্ছি। আপাতত ছেড়ে দিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন