শিখর সফল হল বলে রাহুলকে কম গুরুত্ব দেওয়া যাবে না

ফতুল্লা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় অবাক হওয়ার কী আছে? এই জুন মাসের শুরুতে, যখন বর্ষার আগমনের সময়, তখন টেস্ট ম্যাচ। উপমহাদেশে এমন আগে কখনও ঘটেছে বলে তো মনে করতে পারছি না। তবে বৃহস্পতিবার এক বলও না হওয়ায় একটা বিশেষ বিষয় নিয়ে আলোচনার সুযোগ অবশ্য পাওয়া গেল। ভারতীয় টেস্ট দলের ওপেনিং জুটি।

Advertisement

দীপ দাশগুপ্ত

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৫ ১৮:০৭
Share:

ফতুল্লা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় অবাক হওয়ার কী আছে? এই জুন মাসের শুরুতে, যখন বর্ষার আগমনের সময়, তখন টেস্ট ম্যাচ। উপমহাদেশে এমন আগে কখনও ঘটেছে বলে তো মনে করতে পারছি না।

Advertisement

তবে বৃহস্পতিবার এক বলও না হওয়ায় একটা বিশেষ বিষয় নিয়ে আলোচনার সুযোগ অবশ্য পাওয়া গেল।

ভারতীয় টেস্ট দলের ওপেনিং জুটি।

Advertisement

কে এল রাহুলের অসুস্থতার জন্য আসা সুযোগটাকে যে ভাবে কাজে লাগিয়ে নিল শিখর ধবন, তার প্রশংসা করতেই হবে। ২৩৯-এর অপরাজিত পার্টনারশিপে ওর একারই দেড়শো। সত্যিই অসাধারণ। অনেকে হয়তো ভেবেও নিয়েছেন যে, যাক বাবা, গত দেড় বছর ধরে চলা টেস্ট দলের ওপেনিং সমস্যা বোধহয় এ বার ঘুচল। হয়তো তাঁরা ঠিকই ভাবছেন। কিন্তু আগেও বলেছি, আবার বলছি, শিখর কিন্তু কোনও দিনই আউট অব ফর্ম ছিল না। ওর সমস্যাটা অন্য জায়গায়। টেকনিকে।

কিন্তু এখন প্রশ্নটা হল, এর পরেও কি কে এল রাহুল সুস্থ হলে টেস্ট দলে ফিরতে পারবে?

উপমহাদেশের উইকেটে শিখর ধবন সেরা। এ তো এখন প্রমাণিতই। কিন্তু টেকনিকের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে না পারলে কিন্তু শিখরকে বিদেশের উইকেটে ভুগতে হবে। যে সমস্যাটা রাহুলের অতটা নেই। রাহুল কিন্তু বিদেশের উইকেটে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে শিখরের চেয়ে এগিয়ে।

আবার পরিসংখ্যানের দিক থেকে যদি দেখেন, তা হলে বলতে হবে শিখর-বিজয় অনেকটাই এগিয়ে। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে ওরা ছ’নম্বর জুটি, যারা হাজার বা তার বেশি (১১৬১) রান করেছে। কিন্তু পরিসংখ্যানই তো আর সব বলে দেয় না। যৌক্তিকতা ও প্রাসঙ্গিকতা দিয়ে বিচার করে দেখা উচিত, সত্যিই তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

শিখর যদি ওর টেকনিকের সমস্যাগুলো শুধরে না নিতে পারে, তা হলে রাহুলকেই এগিয়ে রাখব আমি। আগামী এক বছর ভারত যেহেতু উপমহাদেশেই বেশিরভাগ টেস্ট সিরিজ খেলবে, তাই শিখরকে দলে রেখে এগোনেটাই হয়তো ভাল মনে করবেন নির্বাচকরা। সেক্ষেত্রে ওঁদের সঙ্গে আমি একমত হতে পারব না। শিখরকে দিয়ে নিয়মিত ওপেনিং করিয়ে হয়তো আপাতত ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে। দুরপাল্লার দৃষ্টিভঙ্গিতে কিন্তু রাহুলকে নিয়েই এগোনো উচিত। বিদেশের মাটিতে নিয়মিত টেস্ট জিততে হলে এটাই বোধহয় সঠিক পরিকল্পনা।

দেশের মাটিতে বা উপমহাদেশে আমি দু’জনকেই দলে চাইব। রাহুল বরং তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামুক। সেক্ষেত্রে শিখরেরও নিজের ভুলগুলো শুধরে নিতে সুবিধা হবে। সমস্যা মেটানোর জন্য শিখর যেমন প্রচুর সময় ও সঠিক পরিবেশ পাবে, তেমন সাহায্যও পাবে অনেকের কাছ থেকে। সুতরাং নিজেকে শুধরে নিতে ওর কোনও অসুবিধাই হবে বলে মনে হয় না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন