শীতের দুপুরে ইডেনে আজ চির আগুনে ডার্বি

ডিসেম্বরের শেষে শীতের উপভোগ্য আমেজের মধ্যে আজ হঠাত্‌ উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে ক্রিকেটের নন্দনকানন। দুপুরে ইডেনে টি-টোয়েন্টি যুদ্ধে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। জেসি মুখোপাধ্যায় ট্রফির সেমিফাইনালে এই ক্রিকেট ডার্বি যে কখন উত্তেজনার চরমে পৌঁছে যাবে, তা কেউই বলতে পারেন না। তবে দুই শিবিরই টি-টোয়েন্টি ও ডার্বির চাপ একসঙ্গে নিতে প্রস্তুত। মোহনবাগান অধিনায়ক সঞ্জীব সান্যাল যেমন বলেই দিলেন, “দুই প্রধানের ম্যাচ মানেই একটা বাড়তি উত্তেজনা থাকে। তার উপর এটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। সব মিলিয়ে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ হবে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:২৪
Share:

ডিসেম্বরের শেষে শীতের উপভোগ্য আমেজের মধ্যে আজ হঠাত্‌ উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে ক্রিকেটের নন্দনকানন। দুপুরে ইডেনে টি-টোয়েন্টি যুদ্ধে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান।

Advertisement

জেসি মুখোপাধ্যায় ট্রফির সেমিফাইনালে এই ক্রিকেট ডার্বি যে কখন উত্তেজনার চরমে পৌঁছে যাবে, তা কেউই বলতে পারেন না। তবে দুই শিবিরই টি-টোয়েন্টি ও ডার্বির চাপ একসঙ্গে নিতে প্রস্তুত। মোহনবাগান অধিনায়ক সঞ্জীব সান্যাল যেমন বলেই দিলেন, “দুই প্রধানের ম্যাচ মানেই একটা বাড়তি উত্তেজনা থাকে। তার উপর এটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। সব মিলিয়ে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ হবে।”

অন্য দিকে ইস্টবেঙ্গলের কোচ প্রণব নন্দী বলছেন, “চাপ তো থাকবেই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই চাপ। তার উপর আবার ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। এই চাপটা যে দল ভাল সামলাতে পারবে, তারাই জিতবে।”

Advertisement

অপর সেমিফাইনালে মুখোমুখি কালীঘাট ও টাউন ক্লাব। এ দিন মনোজ তিওয়ারির ৪৪ বলে ৮০-র অপরাজিত ইনিংসই কালীঘাটকে শেষ চারে তুলল। স্পোর্টিং ইউনিয়ন বোলারদের সাতটি চার ও পাঁচটি ছয় মারেন মনোজ। মঙ্গলবার কোয়ার্টার ফাইনালে মোহনবাগান আট উইকেটে হারাল ইস্টার্ন রেলকে। অন্য দিকে ইস্টবেঙ্গলও আট উইকেটে জিতল ভবানীপুর ক্লাবের বিরুদ্ধে। ইডেনে বিপক্ষকে ২০ ওভারে ৯৮-৮-এ শেষ করে দিয়ে অরিন্দম দাসের ৪৬ বলে ৫৩-র অপরাজিত ইনিংসের উপর ভর করে মোহনবাগান মাত্র ১৬.২ ওভারে দু’উইকেট হারিয়ে রান তুলে নেয়। লক্ষ্মীরতন শুক্লকে এ দিন ব্যাট করতে হয়নি। তবে দু’ওভার বল করে পাঁচ রান দিয়ে দু’উইকেট নেন তিনি।

ইস্টবেঙ্গলের জয় অবশ্য অত সহজে আসেনি। মোহনবাগানের সঙ্গে মিল বজায় রেখেই জেতে তারা। ভবানীপুর ১৪৭-৭ তোলার পর সেই রান তুলতে তারা ১৬.২ ওভারই নেয় ও মোহনবাগানের মতো দু’উইকেটই হারায়। ইস্টবেঙ্গলের অভিজ্ঞ স্পিনার শিবসাগর সিংহ চার উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটসম্যান ঋতম পোড়েল ৩২ বলে অপরাজিত ৪৮ করেন।

তাই বড় ম্যাচের আগে দুই শিবিরই বেশ টগবগে। কিন্তু ইডেনে যে রকম সবুজ উইকেট, তাতে ব্যাটসম্যানদের কাছে রানের ফোয়ারা আশা না করাই ভাল বলে মনে করেন মোহনবাগান ক্যাপ্টেন। সঞ্জীব বললেন, “এমন উইকেট টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের চরিত্রের সঙ্গে মেলে না। তাই কাল হয়তো ব্যাটসম্যানদেরই পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে। তবু ম্যাচে লড়াই হবে।” উইকেট যে অন্য রকমের, তা জানেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। তাই চূড়ান্ত দল ইডেনের বাইশ গজ দেখে করার কথাই ভেবেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন