লাল-হলুদের নতুন অতিথির সঙ্গে ডুডু (বাঁ দিকে)। সোমবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
ফেডারেশন কাপের আগেই ইস্টবেঙ্গল মাঠে নেমে পড়লেন উগা ওপারার উত্তরসূরি!
আর নতুন ক্লাবে প্রথম দিনের প্র্যাকটিস শেষ করেই অস্ট্রেলীয় ডিফেন্ডার মিলান সুসাক জানিয়ে দিলেন, “আমি সেন্ট্রাল ডিফেন্সে খেলি। কোচ চাইলে আমাকে ডিফেন্সিভ মিডিও হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।”
কোচ আর্মান্দো কোলাসো এখনও গোয়া থেকে ফেরেননি। ডাক্তার দেখিয়ে শুক্রবার তাঁর শহরে ফেরার কথা। ইস্টবেঙ্গলের গোয়ান কোচ দারুণভাবে চাইছিলেন ফেড কাপের আগে সুসাককে পেতে। তিনি এসে নতুন বিদেশির ম্যাচ ফিটনেস নিয়ে কী বলেন তার দিকে তাকিয়ে আছেন সবাই।
জানা গিয়েছে এপ্রিলের পরে আর কোনও ম্যাচ খেলেননি সুসাক। অর্থাৎ তাঁকে তাঁর পুরানো ক্লাব বাতিল করে দেওয়া পর প্রায় সাত মাস মাঠের বাইরে এই ডিফেন্ডার। তাতে অবশ্য চিন্তিত নন টিম ম্যানেজমেন্টয় ফিটনেস নিয়ে সামান্য যেটুকু সমস্যা আছে, সেটাও গোয়ায় ফেড কাপ খেলতে যাওয়ার আগে ঠিক হয়ে যাবে বলে প্রবল আশাবাদী লাল-হলুদ শিবির। সোমবার সুসাক-ডিকাদের অনুশীলন করালেন সহকারী কোচ সুজিত চক্রবর্তী ও অ্যালভিটো ডি’কুনহা। প্র্যাকটিস শেষে অ্যালভিটো বলছিলেন, “সুসাক পুরো ফিট। ও এসে যাওয়ায় ফেড কাপেআমাদের শক্তি আরও বাড়ল।”
ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে সুসাক যেটুকু জেনেছেন বা শুনেছেন, সবই লাল-হলুদে খেলে যাওয়া বন্ধু অ্যান্ড্রু বরিসিচের সৌজন্যে। যিনি আবার ইস্টবেঙ্গল স্ট্রাইকার লিও বার্তোসেরও ‘গাইড’। তবে এ দেশের ফুটবল নিয়ে বেশি কিছু না জানলেও, ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি ম্যাচের খোঁজ-খবর রাখেন। পাওলো মালদিনির ভক্ত সুসাক বলছিলেন, “আমার কাছে কলকাতায় খেলার অন্যতম আকর্ষণ ডার্বি। এই ম্যাচকে ঘিরে এই শহরে কী ধরণের উত্তেজনা আছে, সেটা ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেনেছি।” একটু থেমে তিনি আরও যোগ করলেন, “সামনের এএফসি কাপও গুরুত্বপূর্ণ। আমার সমস্যা হল, হাতে সময় কম আর কাজ অনেক বেশি। ফেড কাপের আগে দু’তিনটে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারলে খুব ভাল হত। ম্যাচ প্র্যাকটিস হয়ে যেত।”
এ দিকে, আইএসএল থেকে ফিরে ডুডু-লালরিন্দিকারা যোগ দিলেন ইস্টবেঙ্গল প্র্যাকটিসে। তবে ডিকা অনুশীলন করলেও, ডুডু মাঠে নামেননি। তাঁর ভিসা সমস্যা রয়েছে বলে খবর। ক্লাব সূত্রের খবর, ফেড কাপ শুরুর আগে কয়েক দিনের জন্য ফিনল্যান্ড যেতে পারেন তিনি। তবে সেটা আর্মান্দো গোয়া থেকে ফিরলেই ঠিক হবে। ডিকা অবশ্য বললেন, “আইএসএল আমাদের কাছে দারুণ অভিজ্ঞতা। প্রচুর শিখেছি। আমার ফ্রি কিক দেখে খুশি আনেলকারা। ওরা আমাকে বলেছে, বাঁ পায়ের সঙ্গে ডান পা-টাও সমান ভাবে ব্যবহার করতে। তা ছাড়া ডিফেন্সিভ খেলার সময় বেশি বল হোল্ড করতে বারণ করেছে।” ডিকাদের সঙ্গে অনুশীলন করলেন জোয়াকিম-রবার্টরাও। তবে এ দিন মাঠের চেয়ে জিমেই বেশি সময় কাটালেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা।