ইউ বি টাকা দেওয়া চালু না করলে আদালতে যেতে পারে মোহনবাগান। সোমবার বাগান সচিব অঞ্জন মিত্র এই ইঙ্গিত দিয়ে বললেন, “আমাদের সঙ্গে দশ বছরের চুক্তি আছে ইউ বি গ্রুপের। প্রয়োজনে আমরা চুক্তি ভেঙে বেরোতে পারব। ওরা কিন্তু পারবে না। আর দু’তিন দিন অপেক্ষা করব। যদি তাতেও সমাধান না হয় তখন অন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।”
তীব্র আর্থিক সঙ্কটে মোহনবাগান। টিমের আইএসএলে খেলা বারো জন ফুটবলার বাদে বাকিরা বকেয়া টাকা এখনও পাননি। এর মধ্যে সঙ্কটের প্রধান কারণ ইউ বি-র নতুন ম্যানেজমেন্টের নেওয়া সিদ্ধান্ত। সামনে আই লিগ। ক্লাবের হাতে টাকা নেই। বকেয়ার জন্য এ দিন সনি নর্ডি-বোয়াদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন সচিব। সেখানে তিনি ফুটবলারদের বললেন, “আমি এখানে তোমাদের হারের পোস্টমর্টেম করতে আসিনি। ফেডারেশন কাপ ভুলে এখন আই লিগে মন দাও। অবশ্যই তোমরা বকেয়া টাকা পেয়ে যাবে। সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছি।” কিন্তু কবে দেওয়া হবে টাকা তা নির্দিষ্ট করে বলেননি।
ফেডারেশন কাপে ব্যর্থতার পরে এ দিন শুরু হল সবুজ-মেরুন অনুশীলন। সঞ্জয় সেনের তত্ত্বাবধানে ফিজিক্যাল ট্রেনিং থেকে শু্যটিং প্র্যাকটিস, সব কিছুই চলে পুরোদমে। অনুশীলন শেষ হওয়ার কিছু আগেই মাঠে আসেন বাগান সচিব। ফুটবলারদের আর্থিক অনটন কাটাতে তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তিনি।
কিন্তু কোথা থেকে আসবে টাকা? সে কথা কেউ জানে না। ক্লাবের এক কর্তা এক কোটি টাকা ধার দিয়ে বসে আছেন। এক টাকাও ফেরত পাননি এখনও। প্রেসিডেন্ট টুটু বসুও এই মুহূর্তে টাকা দেওয়ার জায়গায় নেই। ইউ বি-ও টাকা দিচ্ছে না। এই অবস্থায় স্পনসর ইউ বি-কে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন তিনি। বলে দিলেন, “আমাদের সঙ্গে ওদের বাণিজ্যিক বিবাহ আছে। এ বার ডিভোর্স হলে তো অন্য ব্যবস্থা নিতেই হবে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত আমি একা নেব না। এক্সিকিউটিভ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে যা করার করব।”
তবে মোহনবাগান আর্থিক সমস্যায় থাকলেও, কোচ সঞ্জয় এখন থেকেই পাখির চোখ করছেন আই লিগের সাফল্য। যিনি আত্মবিশ্বাসী মেজাজেই বলে দেন, “বেঙ্গালুরু ফেডারেশন কাপ জিতেছে। তবে প্রতিটা দলের মধ্যে আমরাই সবথেকে বেশি আক্রমণের সুযোগ তৈরি করেছি। কিন্তু শুধু আক্রমণের সুযোগ তৈরি করলে হবে না, গোল করতে হবে। এই ভুলগুলোই শুধরাতে চাই আই লিগে।” সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “আমরা ঠিক করেছি প্রতিটা ম্যাচ ধরে এগবো। কোনও দলকে ছোট করব না। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ভাল করে প্রস্তুতি সারতে হবে।”