নতুন মোড় নিতে চলেছে সুভাষ ভৌমিক বনাম মোহনবাগান লড়াই!
বুধবার শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের বিরুদ্ধে সুভাষ অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, মোহনবাগানের থেকে তাঁর এখনও বকেয়া পাঁচ লক্ষ উনআশি হাজার টাকা। যদিও ক্লাবের দাবি, সুভাষের পাওয়ার কথা তিন লক্ষ সাতাশি হাজার টাকা। সুভাষ মোহনবাগানকে এ ব্যাপারে আদালতে টেনে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুখ খুলল ক্লাব। শুক্রবার পাল্টা অভিযোগ তুলে ক্লাব জানিয়েছে, সুভাষকে দেওয়া ষোলো লক্ষ টাকার গাড়ি ফেরত দেওয়া হয়নি তাদের।
যা শুনে সুভাষ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, “মোহনবাগান যে অভিযোগ করছে সেটা আদালতেই প্রমাণ করুক। এর পর আদালতেই যা বলার বলব।” এ দিন আবার ক্লাব তাঁবুতে বিকেলে উপস্থিত হন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত ভট্টাচার্য। ফুটবলাররা বেতন না পেলেও, সনি-বোয়াদের ধৈর্য্য ধরতে বললেন সুব্রত। “এটা কেউ ভাবতে পারেনি স্পনসর হঠাৎ করে এ রকম করবে। কিন্তু আমার মনে হয় ফুটবলারদের আরও ধৈর্য ধরা উচিত। ওরা নিশ্চয়ই টাকা পেয়ে যাবে।” ক্লাবের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রসূন বলেন, “আমাদের সময় বকেয়া বেতন মেটাতে ধার নিত কর্তারা। এখনও তাই করুক।” স্পনসর নিয়ে সমস্যার সমাধানে আজ শুক্রবার কার্যকর কমিটির বৈঠক মোহনবাগানে।
এ দিন আবার অনুশীলনে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন বুধবার ক্লাবের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে বিষোদগার করা পিয়ের বোয়া। প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে সমস্যা অনুভব করায় আর ঝুঁকি নেননি বাগানের এই মার্কি ফুটবলার।
বোয়া অবশ্য পরে বলে যান, “আমার চোট অতটা গুরুতর নয়। দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠব।” বোয়ার সঙ্গেই এ দিন আবার চোট পেলেন রাম মালিকও। বাগান ডিফেন্ডার বেলো রজ্জাক যদিও আই লিগ নিয়ে এই ডামাডোলের আবহেও আশাবাদী। তাঁর কথায়, “ফেডারেশন কাপে যা হয়েছে তা ইতিহাস। এখন মন দিতে হবে আই লিগে ভাল খেলার জন্য। আই লিগ লম্বা টুর্নামেন্ট। আশা করছি ভাল ফল হবে।” রজ্জাকের সঙ্গে একমত সনিও বলছেন, “আমরা তৈরি আই লিগের জন্য। মোহনবাগানের সমর্থকদের মুখে এ বার হয়তো হাসি ফোটাতে পারব।”