স্মিথের সেঞ্চুরি এ বার বাঁচিয়ে রাখল ভারতকে

যে স্টিভ স্মিথের সেঞ্চুরি এত দিন ভারতের কাল হয়ে উঠছিল, সেই স্মিথের সেঞ্চুরিই এ বার ভারতকে লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখল। শুক্রবার হোবার্টে অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের সেঞ্চুরিতেই চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজে ভেসে রইল ভারত। স্মিথের সেঞ্চুরিই অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়ে ফাইনালে তুলে দিল। অস্ট্রেলিয়া এ দিন এই জয় না পেলে ধোনিদের এই সিরিজে টিকে থাকার লড়াইটা বেশ কঠিন হয়ে যেত। ইংল্যান্ড ৩০৩ তোলার পরও তিন উইকেটে হারায় যা হল না।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:৫৬
Share:

স্মিথ। টেস্টের পরে ওয়ান ডে অধিনায়ক হিসাবে অভিষেকেও সেঞ্চুরি। ছবি: গেটি ইমেজেস

যে স্টিভ স্মিথের সেঞ্চুরি এত দিন ভারতের কাল হয়ে উঠছিল, সেই স্মিথের সেঞ্চুরিই এ বার ভারতকে লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখল। শুক্রবার হোবার্টে অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের সেঞ্চুরিতেই চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজে ভেসে রইল ভারত। স্মিথের সেঞ্চুরিই অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়ে ফাইনালে তুলে দিল। অস্ট্রেলিয়া এ দিন এই জয় না পেলে ধোনিদের এই সিরিজে টিকে থাকার লড়াইটা বেশ কঠিন হয়ে যেত। ইংল্যান্ড ৩০৩ তোলার পরও তিন উইকেটে হারায় যা হল না।

Advertisement

তিনটি করে ম্যাচ খেলে অস্ট্রেলিয়া ১৩ ও ইংল্যান্ড পাঁচ। ভারত সেখানে দু’টি ম্যাচ খেলেও খাতা খোলেনি। এ দিন ইংল্যান্ড জিতে ন’পয়েন্টে চলে গেলে ভারত আরও চাপে পড়ে যেত। তা না হওয়ায় এখন ধোনিদের অপেক্ষাকৃত কম চাপ নিয়ে পরের দুই ম্যাচে জিততে হবে। ইংল্যান্ড এ দিন জিতে নয়ে চলে গেলে ভারতকে শেষ দুই ম্যাচেই বোনাস পয়েন্ট নিয়ে জিতে ফাইনালে উঠতে হত। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে সোমবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারলেও শুক্রবার ইংল্যান্ডকে বোনাস পয়েন্ট নিয়ে হারালেও ফাইনালে ওঠার সুযোগ থাকবে। আর পরের দুই ম্যাচেই ভারত জিতলে ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া।

কিন্তু শুক্রবার হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে দু’দলকে যে রকম হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে দেখা গেল, তাতে ভারতীয় শিবিরে থরহরিকম্প শুরু হওয়াই স্বাভাবিক। ইংল্যান্ড তাদের ৩০৪-এর টার্গেট দেওয়ার পরও অস্ট্রেলিয়া তা তুলে দিল এক বল বাকি থাকতেই। তখনও হাতে তিন উইকেট। অনায়াসেই লক্ষ্যের কাছে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। শেষ দু’ওভারে ৫ রান দরকার ছিল তাদের। সেঞ্চুরির মধ্যেই থাকা স্টিভ স্মিথ ক্যাপ্টেন হিসেবে তাঁর প্রথম ওয়ানডে-তে সেঞ্চুরি পেলেন। প্রথম টেস্ট ক্যাপ্টেনসি করতে নেমেও সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। শুক্রবার জয় ও সেঞ্চুরি দুইয়ের ধারাই বজায় রাখলেন তিনি।

Advertisement

স্মিথ টস জিতে বিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠানোর পর ইংরেজ ওপেনার ইয়ান বেল ও মইন আলি দুজনে মিলে ১১৩-র পার্টনারশিপ গড়েন। হাফ সেঞ্চুরি থেকে চার রান দূরে থাকা অবস্থায় মইন আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার পর বেলের সঙ্গে জো রুটের ১২১-এর জুটি ইংল্যান্ডকে বড় ইনিংসের দিকে টেনে নিয়ে যায়। বেল ১৪১ ও রুট ৬৯ রানে ফিরে যাওয়ার পর বাকি ব্যাটসম্যানরা আর ২৮ রান যোগ করেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মিডিয়াম পেসার গুরিন্দর সাঁধু দু’উইকেট নেন। স্মিথের সেঞ্চুরি (১০২) ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার অন্য ব্যাটসম্যানরা, যেমন ফিঞ্চ, মার্শ, ম্যাক্সওয়েল, ফকনার, হাডিনও এ দিন ছন্দে ছিলেন। “বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের এই ফর্মে থাকা নিজেদের দেশে আমাদের বিশ্বকাপ জয়ের আশা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে”, ম্যাচের পর বলেন স্মিথ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন