সূর্যকে ব্যাটিং অর্ডারে তুলে আনা হোক

ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বদনাম বোধহয় এবার ঘুচবে। প্রতি বার আইপিএলে তাদের ব্যাট ঝলসে না উঠে একদিকটা ধরে খেলার জন্য ডাক পড়া। কেউ যদি একটু বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারে, সেটা সেই দলের কাছে বোনাস হিসেবে বিবেচিত হওয়া। আইপিএলে সেই সব দিন বোধহয় আর নেই। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের তকমায় এ বার একটু অন্য রকম রঙ দেখা যাচ্ছে।

Advertisement

রবি শাস্ত্রী

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৪ ০৩:০৪
Share:

ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বদনাম বোধহয় এবার ঘুচবে। প্রতি বার আইপিএলে তাদের ব্যাট ঝলসে না উঠে একদিকটা ধরে খেলার জন্য ডাক পড়া। কেউ যদি একটু বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারে, সেটা সেই দলের কাছে বোনাস হিসেবে বিবেচিত হওয়া। আইপিএলে সেই সব দিন বোধহয় আর নেই। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের তকমায় এ বার একটু অন্য রকম রঙ দেখা যাচ্ছে।

Advertisement

শনিবার ওয়াংখেড়েতে মুম্বইয়ের গৌতম ও আদিত্য তারে যেমন ব্যাট করল, তার পর এমন ধারণা মনের মধ্যে ক্রমশ দানা বাঁধছে। গৌতমের চার্জ করার প্রবণতা ও স্কুপ করার জন্য আগে থেকে পজিশন নেওয়া এবং তারের উত্তেজনায় ঠাসা ব্যাটিং এ বারের আইপিএলে মুম্বইয়ের প্রথম জয়ে এই দু’জনের অবদান শুধু রান দিয়ে বিচার করা উচিত নয়, এর চেয়েও বাড়তি কিছু আছে।

কেকেআরের সূর্যকুমার যাদবও এই তালিকায় থাকতে পারে। রাজস্থান রয়্যালসের সঞ্জু স্যামসনের কথাও অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। মায়াঙ্ক অগ্রবাল, কেদার যাদব, মণীশ পাণ্ডে, যোগেশ টাকাওয়ালে, করুণ নায়াররাও এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে সম্প্রতি। হায়দরাবাদের লোকেশ রাহুলের ভূমিকাটা একটু অন্য রকমের। বিগ হিটারদের উল্টো দিকে থেকে ইনিংসকে টেনে নিয়ে যাওয়াই ওর কাজ। ভারতীয় দলের আসন্ন ইংল্যান্ড সফরের কথা ভেবে ওর দিকে নজর রাখা উচিত নির্বাচকদের।

Advertisement

বেশিরভাগ দলই এদের ব্যাটিং অর্ডারের উপরের দিকে রাখছে। সঠিক ফল লাভের আশা করেই যে ওদের সামনের দিকে ব্যাট করতে পাঠানো হচ্ছে, এমনটাই ধরে নেওয়া উচিত। প্রথম দুই সপ্তাহে কিছুটা গা ছাড়া ভাব দেখার পর এদের আসলে ভাল করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, দলে ওদের ভূমিকা ঠিক কী। ওদের কাছ থেকে অবশ্য পল ভালথাটি বা সৌরভ তিওয়ারির মতো বোমাবাজি আশা করা হচ্ছে না। আসলে ওদের ভূমিকা অনেকটা সেই ‘শার্পশুটার’-দের মতো, যারা শত্রুর উপর গোলাগুলি চালিয়ে ঘোড়সওয়ার বাহিনীর জন্য রাস্তা পরিষ্কার করে দেয়।

যে দলগুলোর ব্যাটিংয়ে সমস্যা আছে, তারাই এই ধরনের ব্যাটসম্যানদের উপর বেশি নির্ভর করে আছে। মুম্বই, কেকেআর, দিল্লি, হায়দরাবাদে এদের গুরুত্ব হয়তো আরও বাড়বে। এদের ব্যাটের ধার যত বাড়বে, তত এই দলগুলোর লাভ। এবং সেই আশাতেই আছে ওরা। আসলে ক্রিকেট দুনিয়া এদের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে কমই জানে। এটাই ভারতের এই নতুন প্রজন্মের ব্যাটসম্যানদের শক্তি। ঋদ্ধিমান সাহা, অজিঙ্ক রাহানে, সঞ্জু স্যামসনরা যে ইউটিলিটি ব্যাটসম্যান, তা এরা আগেই প্রমাণ করেছে। পাণ্ডে মাঝে মধ্যে জ্বলে ওঠে। রায়ডুর যাবতীয় ক্রিকেট সবই আইপিএলকেন্দ্রিক। সূর্যকুমার যাদব সবার নজর কেড়ে নিয়েছে। কেকেআরের পরের ম্যাচেই ওকে ব্যাটিং অর্ডারে ‘প্রোমোশন’ দেওয়া উচিত। আইপিএলের এই তরুণ ব্যাটসম্যানরাই এখন ভারতের আশা-ভরসা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন