স্পট ফিক্সিংয়ের তদন্তকারী বহিষ্কৃত আইপিএস অফিসার সম্পত কুমার জুয়াড়িদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছিলেন বলে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ জানাল তামিলনাড়ু সরকার। মামলার রায় দেওয়ার আগে তাদের এই দাবি বিবেচনা করে দেখার আবেদন জানাল নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের রাজ্যের সরকার।
সম্পত কুমার আদালতের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তিনি এই তদন্ত চালানোর সময় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির এতে জড়িয়ে থাকার প্রমাণ পান এবং জানতে পারেন, পুলিশের উপর মহল থেকে তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আদালতকে এ কথা জানিয়ে আবেদন করেন তিনি।
আদালতে জানানো আবেদনে তামিলনাড়ু সরকার আবার সম্পত কুমারের বিরুদ্ধে ঘুষের যে অভিযোগ এনেছে, তা আগেও আনা হয়েছিল এবং এই অভিযোগের ভিত্তিতেই সম্পতকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানানো হয়। আদালতে সম্পত কুমার জানান, এই মামলার তদন্ত ‘স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম’ (সিট)-কে দিয়ে করানো উচিত। যদিও সর্বোচ্চ আদালত সিট বা সিবিআই-কে এর তদন্তের ভার দিতে রাজি নয় বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।
অন্য দিকে বিহার ক্রিকেট সংস্থার সচিব আদিত্য বর্মা ফের আইসিসি-কে চিঠি দিয়ে শ্রীনিবাসনকে আইসিসি-র সর্বোচ্চ পদে বসতে না দেওয়ার অনুরোধ জানালেন। আইসিসি প্রেসিডেন্ট অ্যালান আইজ্যাককে লেখা এই চিঠিতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আইসিসি কি ক্রমশ ইন্ডিয়া সিমেন্ট ক্রিকেটে পরিণত হচ্ছে?” তাঁর বক্তব্য, “আইপিএল ফিক্সিং-এর তদন্ত আইসিসি-রও আলাদা করে করা উচিত।” চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, “আইসিসি-র উচিত ভারতীয় আইনকে সম্মান জানানো। দেশের শীর্ষ আদালত কিন্তু শ্রীনিবাসনকে ক্ষমতাচ্যূত করেছে।”