শুক্রবার হাবাসের ছবি তুলেছেন শঙ্কর নাগ দাস
আটলেটিকো দে কলকাতার সেরা ফরোয়াডর্ ফিকরু তেফেরার শাস্তি না কমলেও লাইফলাইন পেলেন দলের কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। যাঁর চার ম্যাচের শাস্তি শর্তসাপেক্ষে মকুব করা হল। কমে দাঁড়াল দু’ম্যাচ। অর্থাত্ চেন্নাইয়ে আগামী মঙ্গলবার চেন্নাইয়ান এফসি ম্যাচের পরেই ফের কলকাতার ডাগআউটে ফিরতে পারবেন আটলেটিকো কোচ। তবে দু’ম্যাচ শাস্তি কমলেও অবশিষ্ট আইএসএলে হাবাসের আচরণ নজরে রাখবে এআইএফএফ। টুর্নামেন্টের মধ্যে যদি আবার অখেলোয়াড়োচিত আচরণ করতে দেখা যায়, তবে হাবাসের দু’ম্যাচের শাস্তির সঙ্গে বাকি দু’ম্যাচের সাসপেনশনও ফের যোগ হবে। তবে এ দিন তাঁর ম্যাচ সাসপেনশন অর্ধেক কমলেও জরিমানার অঙ্ক কমল না।
হঠাত্ কেন হাবাসের শাস্তি কমানো হল? ফেডারেশন সচিব কুশল দাস বললেন, “আমি এই বৈঠকে ছিলাম না। কিন্তু শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান এন এ খান যা বলেছেন, তার ভিত্তিতে বলতে পারি কারও পা থেকে ফুটবল চলে যাক বা খেলাটার কোনও টেকনিক্যাল লোক মাঠে না থাকতে পারুক এটা আমরা চাই না। গোয়া ম্যাচে উদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ দেখা গিয়েছে হাবাসের। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিপক্ষ দলের ফুটবলার রবার্ট পিরেসের সঙ্গে হাবাসের হাতাহাতি ধরা পড়েনি।”
যদিও ফেডারেশনের এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে এফসি গোয়া কোচ জিকো এ দিন বলেছেন, “শুভেচ্ছা জানাতে চাই ওদের আইনজীবীদের।”
তবে জিকোর যেন পাল্টা এ দিন দিলেন আটলেটিকো দে কলকাতার অন্যতম মালিক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। “চেন্নাইয়ান ম্যাচে হাবাস, ফিকরুকে পাব না। এটা খেলার অঙ্গ। কিন্তু গোয়া ম্যাচ তো আমরা গার্সিয়া ছাড়াই জিতেছিলাম,” এ দিন বলেন সৌরভ। সঙ্গে শাহরুখ খান প্রসঙ্গেও তাঁর মন্তব্য, “শাহরুখ খান যখন খুশি তখনই দেখতে পারে আটলেটিকো ম্যাচ। ওকে সব সময় স্বাগত। ও তো আমাদেরই লোক।”
হাবাসের শাস্তি কমার কিছু ঘণ্টা আগে অবশ্য শুক্রবার সকালে আটলেটিকো অনুশীলন শেষে গোমড়া মুখে যুবভারতী ছাড়তে দেখা যায় তাঁকে। যাঁর দল আইএসএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে তাঁর ক্ষোভ কী নিয়ে? জানা গেল, চেন্নাইয়ানের ফর্মে থাকা তারকা এলানো-মেন্ডোজাদের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে প্রায় অর্ধেক দিন টেনিস খেলে কাটাচ্ছেন আটলেটিকো কোচ। যা নাকি তাঁর কাছে চাপ কাটানোর অন্যতম অস্ত্র। বৃহস্পতিবারও দলের গোলকিপার কোচ প্রদীপকুমার ভক্তাওয়ারের সঙ্গে টেনিস খেলেন হাবাস। সিঙ্গলস নয়, ডাবলস। যে ম্যাচে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর পার্টনার ছিলেন সহকারী কোচ দিয়াজ আর ফিটনেস কোচ মিগুয়েল। হাবাসদের অবশ্য হারতে হয়। টিম সূত্রের খবর, সেই হারের রেশ হাবাসের মুখে ফুটে উঠেছিল এ দিন প্র্যাকটিস শেষে। যা ফের প্রমাণ দিল, আটলেটিকো দে কলকাতার স্প্যানিশ কোচের লড়াকু মানসিকতার।
আটলেটিকো কোচের টেনিস ম্যাচ বাদে এ দিন যুবভারতীর অ্যাস্ট্রোটার্ফে প্রস্তুতি সারলেন তাঁর ফুটবলাররা। আর্নাল-গার্সিয়ারা প্রায় সবাই চনমনে মেজাজে ছিলেন। বল পজেশন প্র্যাকটিস থেকে শুরু করে আলাদা করে সেট পিস অনুশীলন, সব কিছুই চলল পুরোদমে। ফুটবলারদের শ্যুটিং, পাসিং, ক্রসিংয়ের উপরেও জোর দিলেন কোচ।