কলিঙ্গ যুদ্ধের প্রস্তুতি সর্দারদের। শুক্রবার ভুবনেশ্বরে। ছবি: পিটিআই
তাপমাত্রা শনিবার নাকি কিছুটা কমবে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস সে রকমই। তবে একটা জায়গা বোধহয় ব্যতিক্রম থাকবে- ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়াম! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হকিতে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান সেমিফাইনাল যুদ্ধ নিয়ে যেখানে পরিবেশ এখন প্রবল উত্তপ্ত।
দু’বছর আগে মেলবোর্নে আট দেশের এই এলিট টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের কাছেই ব্রোঞ্জ পদক জেতার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছিল ভারতের। সেই হারের বদলা তো আছেই, তার সঙ্গে ফাইনালে উঠলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ৩৬ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম সামিট ম্যাচ খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে সর্দার সিংহর দল।
মাস দুই আগে পাকিস্তানকে হারিয়েই ইনচিওন এশিয়াডে সোনা জেতা ভারতীয় দলের আত্মবিশ্বাসও দুরন্ত। ভুবনেশ্বরেও পরপর দু’ম্যাচে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা নেদারল্যান্ডস আর বেলজিয়ামকে হারিয়েছেন রুপিন্দর পাল সিংহরা। টুর্নামেন্টের প্রথম দু’ম্যাচে হারের পর এই পারফরম্যান্স শনিবারের মহালড়াইয়ে ভারতকে তাই এগিয়ে রাখছে।
তবে ভারতের হাই পারফরম্যান্স ডিরেক্টর রোল্যান্ট অল্টম্যান্স সতর্ক। গ্রুপ পর্যায়ে তিন ম্যাচে হারের পর নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে চমকে দেওয়া পাকিস্তানের কাছে কড়া চ্যালেঞ্জ আশা করছেন বলেই কোনও ঝুঁকি নিতে চান না তিনি। “আশা করিনি পাকিস্তান ডাচদের হারাবে। মাঠের প্রত্যেকটা বর্গ সেন্টিমিটারে পাকিস্তান লড়াই করেছে। তবে আমাদেরও ওদের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা কম নয়। প্লেয়াররা জানে কী ভাবে এই ম্যাচের আবেগ সামলাতে হয়।” বাগযুদ্ধে পিছিয়ে নেই পাকিস্তানও। কোচ শাহনাজ শেখ নতুন ছক ‘নয়-এগারো’য় ভারতের বিরুদ্ধে নামার হুঙ্কার ছেড়েছেন। অবশ্য ৯ সেপ্টেম্বর ২০০১ যুক্তরাষ্ট্রে জঙ্গিহানার ঘটনার সঙ্গে মিল রেখে ছকের নামে বিতর্ক ছড়াতে সময় লাগেনি। তবে শেহনাজ বলেে ছন, “আমরা ভারতের বিরুদ্ধে শনিবার ৯-১১ ছকে নামব। নামটা শুনে আমায় আবার ভুল বুঝবেন না। এটা স্ট্র্যাটেজি। এর অর্থ আক্রমণে ৯ জন উঠবে। দু’জন থাকবে পিছনে। আবার ১১ জনই রক্ষণ করবে।”