ফের শুরু কর্মবিরতি। ছবি: মাসুম আখতার
বকেয়া বেতনের দাবিতে ফের অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের হরতাল শুরু হল ভাটপাড়া পুরসভায়। বকেয়া বেতনের দাবিতে গত দেড় বছরে বার বার ধর্মঘট করেছেন অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা। দাবির সামান্য মেটানো হলে, কখনও আশ্বাস দেওয়া হলে কাজে ফিরেছেন তাঁরা। কিন্তু প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিন ফের ধর্মঘটে বসলেন এখানকার অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা। পুর কর্তৃপক্ষের অনুরোধেও সাড়া দেননি তাঁরা। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, টাকা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কাজে ফিরবেন না। জঞ্জাল সাফাই না হলে স্বাভাবিক ভাবেই আগের মতো রাস্তাঘাট জঞ্জালে ভরার আশঙ্কা থাকছে। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বুধবার তাঁরা অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের বকেয়ার একাংশ মেটাবেন। ভাটপাড়া পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের বকেয়া বেতনের সমস্যা ২০১৯ সাল থেকে চলছে। বিজেপি ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে জেতার পরে এই পুরসভা তাদেরই দখলে আসে। অভিযোগ, সে সময়ে নিয়ম লঙ্ঘন করে প্রচুর লোক নিয়োগ করা হয়েছিল। তারপর থেকে তাঁদের বেতন নিয়ে সমস্যা চলছে।
সে সময়েও অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা অনির্দিষ্ট কালের জন্য হরতাল করেছিলেন। পুজোর আগে শহরের গলি থেকে বড় রাস্তায় জঞ্জাল উপচে পড়ছিল। সে সময়ে বকেয়া বেতনের একাংশ এবং পুজোর বোনাস দিয়ে সমস্যা সামাল দেওয়া হয়। ডিসেম্বরে ফের এক দফা ধর্মঘট করেন সাফাই কর্মীরা। তখন আশ্বাসেই সমস্যা মেটে।
২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে পুরবোর্ড ফের তৃণমূলের দখলে আসে। তারপর থেকে বেতন বকেয়া নেই। কিন্তু আগের বেতনের অনেকটাই বাকি ছিল। মাস দেড়েক আগে সেই দাবিতে ফের ধর্মঘট শুরু করেন অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা। তখন এক দেড় মাসের বেতন এবং ওভার টাইম ডিউটির টাকা দিয়ে সমস্যা মেটানো হয়। কিন্তু বকেয়া পুরোপুরি মেটানো হয়নি বলে সোমবার ভোর থেকে সাফাই কর্মীরা ধর্মঘট শুরু করেন। তাঁদের দাবি, তিন মাসের বেতন এখনও বকেয়া রয়েছে। কাজ না করায় এ দিন শহরে অধিকাংশ জায়গা থেকে জঞ্জাল তোলা হয়নি। ধর্মঘট না উঠলে আজ, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন রাস্তায় জঞ্জাল পড়ে থাকতে দেখা যেতে পারে।
ভাটপাড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের ২০১৯ সালের দেড় মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। তার মধ্যে ২৭ তারিখ আমরা এক মাসের বকেয়া দিয়ে দেব বলে জানিয়েছি। আশা করছি আলোচনায় সমস্যা মিটবে।’’ তবে অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা জানান, প্রজাতন্ত্র দিবসের জন্য তাঁদের দিয়ে কাজ করানোর জন্য ২৭ তারিখের কথা বলা হচ্ছে। বকেয়া না মেটানো পর্যন্ত তাঁরা কাজে ফিরবেন না।