—প্রতীকী ছবি।
ঘরের গরম বাতাসকে ঠান্ডা করতে ব্যবহার হয় এসি বা এয়ার পিউরিফায়ার। এগুলির কাজ কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। ঘরের বাতাসের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে এই দুই ডিভাইস। তার জন্য এগুলির মধ্যে থাকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই পরিমাণ যন্ত্র। সংশ্লিষ্ট একিউআই কেবলমাত্র ঘরের বাতাসকেই পরিষ্কার করতে পারে, বাড়ির বাইরের নয়।
বর্তমানে যে এসি বা এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার হয়, তার ভিতরে থাকে পিএম ২.৫ এবং ভিওসি সেন্সর। প্রথমটি বাতাসের ধূলোকণা থেকে শুরু করে ফুলের রেণু বা অতিসূক্ষ্ম কণাকে মেপে দেয়। আর ভিওসির কাজ হল গন্ধ পরিমাপ করা। এককথায় পারফিউম, সিগারেট বা রান্নার গন্ধ বুঝতে পারে এই সেন্সর।
ঘরের তাপমাত্রা কমাতে সেখানকার বাতাস নিজের মধ্যে টেনে নেয় এসি। তার পর সেই বাতাসের উপর পড়ে ইনফ্রা রশ্মি। এসির ভিতরে থাকা যন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসে ওই রশ্মি। বাতাসে থাকা ধূলিকণার উপর সংশ্লিষ্ট রশ্মিটি পড়তেই আলোর প্রতিবিম্বের কারণে সেগুলির সংখ্যা গুনে ফেলে পিএম ২.৫ সেন্সর। সব শেষে মাইক্রো প্রসেসার একিউআই স্কেলে সংশ্লিষ্ট সংখ্যাকে কনভার্ট করে ফেলে।
এই প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় পর্যায়ে বাতাসের ধূলিকণাকে ধরে ফেলে এসি বা এয়ার পিউরিফায়ারের ভিতরের হিপা ফিল্টার। অন্য দিকে অ্যাডভান্স কার্বন ফিল্টার গন্ধ বা বিভিন্ন ধরনের গ্যাসকে শোষণ করে নেয়। আর আয়োনাইজ়ার চার্জ ছড়িয়ে বাতাসের ধূলিকণাগুলিকে এক জায়গায় আটকে দেয়। ঘরের একিউআই স্বাভাবিক অবস্থায় বা একেবারে কমে না যাওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া নিরন্তর চালিয়ে যায় এসি বা এয়ার পিউরিফায়ার।
আর তাই ঘরের বাতাসে বেশি ধূলিকণা থাকলে এসির গায়ে লাল আলো জ্বলতে দেখেন গ্রাহক। মোটের উপর সেটা ঠিক থাকলে যন্ত্রটির গায়ে জ্বলতে থাকে হলুদ আলো। এ ছাড়া ঘরের বাতাস পুরোপুরি বিশুদ্ধ হয়ে গেলে জ্বলে ওঠে সবুজ আলো। এ ভাবেই ঘরের বাতাসের স্বাস্থ্যের হালহকিকত জানিয়ে থাকে এসি বা এয়ার পিউরিফায়ার।