প্রতীকী ছবি।
ফের নতুন পণ্য নিয়ে বাজারে হাজির আইফোন নির্মাণকারী সংস্থা অ্যাপ্ল। ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেভলপার্স কনফারেন্স’ বা ডব্লিউডব্লিউডিসিতে সেগুলির কথা ঘোষণা করেছে এই মার্কিন টেক জায়ান্ট। সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলির মধ্যে রয়েছে আইওএস ২৬ ম্যাকওস এবং ওয়াচ ওস ২৬। ঝকঝকে নতুন লুকে এগুলিকে বাজারে এনে অ্যাপ্ল যে দ্রুত ক্রেতাদের মন জয় করতে চাইছে, তা বলাই বাহুল্য।
মার্কিন টেক জায়ান্ট সংস্থাটি তাঁদের নতুন পণ্যগুলির অপারেটিং সিস্টেমের নামকরণ করেছে ‘লিকুইড গ্লাস’। যদিও সব দেখেশুনে ভুরু কুঁচকেছেন নিন্দুকেরা। তাঁদের দাবি, সংশ্লিষ্ট অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে ‘উইন্ডোজ় ভিস্তা’র বেশ মিল রয়েছে। ২০০৭ সালে যেটা তৈরি করেছিল আর একটি আমেরিকান টেক জায়ান্ট, মাইক্রোসফ্ট। সেই প্রযুক্তি ‘টুকে’ অ্যাপ্ল এটা বানিয়েছে বলে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছেন সমালোচকেরা।
আইফোন নির্মাণকারী সংস্থাটির বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এর আগেও বহু সংস্থার তৈরি প্রযুক্তির থেকে ‘অনুপ্রাণিত’ হয়েছে অ্যাপ্ল। তবে ‘চুরি’ করে ‘লিকুইড গ্লাস’ প্রযুক্তি তৈরি হোক না হোক— এর জন্য যে নতুন পণ্যগুলি একটা অন্য রকম লুক পেয়েছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ডব্লিউডব্লিউডিসিতে আরও একটি বিষয়ের কথা ঘোষণা করেছে অ্যাপ্ল। সেই স্লোগান হল, ‘এআই এভরিহোয়্যার’। ফোনকল থেকে সরাসরি অনুবাদ— আগামী দিনে অনেক কাজই কৃত্রিম মেধা বা এআইয়ের সাহায্যে করতে পারবেন এই মার্কিন টেক জায়ান্টের পণ্য ব্যবহারকারীরা। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে প্রতিযোগী সংস্থাগুলির চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে অ্যাপ্ল। সেই কারণে আগেভাগে এই ঘোষণা হল বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে এ বারের ডব্লিউডব্লিউডিসির পর মার্কিন টেক জায়ান্ট সংস্থাটিকে নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে বিরাট উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি। অ্যাপ্লের লগ্নিকারীরাও যে দারুণ খুশি, এমনটা নয়। আর সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি সঠিক পথে চলছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।