প্রতীকী ছবি।
কয়েক হাজার থেকে শুরু করে লাখ টাকার স্মার্টফোন হাত থেকে পড়ে গেলেই সাড়ে সর্বনাশ! মুহূর্তে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যেতে পারে ডিসপ্লে। এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ফোনের কলকব্জা বিগড়ে যাওয়াও একেবারে অসম্ভব নয়। আর তাই ফোন-রক্ষায় ব্যাক কভার ব্যবহার করাটাই দস্তুর। এতে ফোনের ‘স্মার্ট লুক’ কিছুটা নষ্ট হলেও সুরক্ষার কথা ভেবে তা নিয়ে মাথা ঘামান না ব্যবহারকারীরা। মুশকিল হল, এই ব্যাক কভারের জন্যও কিন্তু ফোনের বেশ ক্ষতি হতে পারে। আনন্দবাজার ডট কমের এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
স্মার্টফোনের একটি বড় সংস্যা হল ফোন গরম হয়ে যাওয়া। অ্যান্ড্রয়েড হোক বা আইফোন— মুঠোবন্দি চলভাষ যন্ত্র চালু থাকা অবস্থায় সব সময় কাজ করে এর প্রসেসর। এ ছাড়া ফোন চালু থাকতে বিদ্যুৎশক্তি সরবারহ করে ব্যাটারি। এটি দ্রুত পুড়তে থাকলেও ফোন গরম হয়ে যায়। অধিকাংশ স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেই ‘হিট সিঙ্ক’ প্রযুক্তিটি থাকে পিছনের দিকে। এর মাধ্যমে তাপ বাইরে বার করে দেয় সংশ্লিষ্ট ফোন।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের দাবি, ফোনে ব্যাক কভার লাগিয়ে দিলে ওই তাপ আর বার হতে পারে না। ফলে গরম হয়ে যাওয়া ফোন পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে অনেকটা সময় নিয়ে নেয়। এতে ফোনের ভিতরের প্রসেসর এবং ব্যাটারি খারাপ হওয়ার প্রভূত আশঙ্কা থাকে।
ব্যাক কভারের জন্য ‘হিট সিঙ্ক’ না করতে পেরে ফোন গরম হলে ক্যামেরার পারফরম্যান্স খারাপ হতে পারে। পাশাপাশি, ডিসপ্লেতে গ্রিন লাইন ফুটে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে খারাপ হতে পারে ডিসপ্লে। বিশ্লেষকদের দাবি, ফোন যত গরম হবে, ততই কমবে তার হার্ডঅয়্যারগুলির জীবনীশক্তি। ফোন গরম হলে আইফোন ব্যবহারকারীদের বিশেষ একটি সমস্যার মুখে পড়তে হয়। সেটা হল ডিসপ্লের ঊজ্জ্বলতা কমে যাওয়া।
কিন্তু, ফোনের সুরক্ষার দিকটাও তো মাথায় রাখতে হবে। আর তাই যত দিন যাচ্ছে ততই মোটা ব্যাক কভার কেনার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্লেষকদের দাবি, এ ভাবে ফোন বাঁচাতে গিয়ে উল্টে যন্ত্রটির অকালমৃত্যু ডেকে আনছেন গ্রাহকেরা। তাঁদের পরামর্শ, বাহারি নকশার দিকে বেশি নজর না দিয়ে ভেন্টিলেশন যুক্ত ব্যাক কভার কেনা ভাল, যাতে হাওয়া ঢোকার বেশ ভাল সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে বিশেষ এক ধরনের ব্যাক কভার পাওয়া যায় যা শুধুমাত্র ফোনের ফ্রেমকে ঢেকে রাখে। বাকি অংশ থাকে খোলা। এই ধরনের ব্যাক কভার ফোনের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল, বলছেন বিশ্লেষকেরা।