—প্রতীকী ছবি।
মোবাইল ফোন নির্মাণকারী সংস্থাগুলির মধ্যে একটিকে নিয়ে আতঙ্কিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র! সংশ্লিষ্ট কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে রেখেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারও। ফলে ভারতে খুচরো বাজারে আর হয়তো কখনই ‘কামব্যাক’ করতে পারবে না তারা। কেন পশ্চিমি দুনিয়ার ত্রাসে পরিণত হয় ওই মুঠোবন্দি ডিভাইস তৈরির সংস্থা? এই প্রতিবেদনে তারই তত্ত্বতালাশ তুলে ধরল আনন্দবাজার ডট কম।
আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়া মোবাইল নির্মাণকারী সংস্থাটি হল চিনের হুয়াওয়েই। একসময় স্মার্টফোন বিক্রির নিরিখে মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপ্লের তৈরি আইফোনকে পেরিয়ে গিয়েছিল তারা। শুধু তা-ই নয়, প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার বহুজাতিক বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের সংস্থা স্যামসাংকে। এর পরই বেজিঙের কোম্পানিকে কোণঠাসা করা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র-সহ গোটা পশ্চিমি দুনিয়া। সেখানে যোগ দেয় ভারত-সহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ। এর পরই নিম্নমুখী হয় হুয়াওয়েইর বৃদ্ধির সূচক।
চিনা স্মার্টফোন নির্মাণকারী সংস্থাটির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্য দোষ দেওয়া ঠিক নয়। কারণ, হুয়াওয়েইয়ের বিরুদ্ধে একসময় জমে উঠেছিল অভিযোগের পাহাড়, যার মধ্যে অন্যতম হল প্রযুক্তি চুরি। তা ছাড়া সস্তায় বিক্রি করা ওই ফোনগুলির মাধ্যমে বেজিঙের গুপ্তচরেরা আড়ি পাততে পারে বলেও জল্পনা ছড়িয়েছিল। এর পরই হুয়াওয়েইকে বাজারছাড়া করতে দৃঢ় সংকল্প নেয় আমেরিকা-সহ পশ্চিমি বিশ্ব।
নিষেধাজ্ঞার বেড়ি সত্ত্বেও হুয়াওয়েইকে অবশ্য পুরোপুরি আটকে দিতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। এখনও ইউরোপের বেশ কিছু দেশে পাওয়া যায় ওই চিনা স্মার্টফোন। তবে নিষেধাজ্ঞার জেরে উন্নত চিপ তাতে ব্যবহার করতে পারছে না নির্মাণকারী সংস্থা। ফলে এর চাহিদা বেশ কমে গিয়েছে। চিনে অবশ্য বিপুল পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে এই সংস্থার স্মার্টফোন। আগামী দিনে ৬জি প্রযুক্তি তাঁরা বাজারে আনতে চলেছে বলে সূত্র মারফত মিলেছে খবর।
কিছু দিন আগে তিন ভাঁজের স্মার্টফোন বাজারে এনে সবাইকে বেশ চমকে দেয় হুয়াওয়েই। মুঠোবন্দি ডিভাইসটির পোশাকি নাম ‘মেট এক্সটি আল্টিমেড ডিজ়াইন’। সংশ্লিষ্ট গ্যাজেটটি আর পাঁচটা ফোল্ডিং ফোনের চেয়ে যে এগিয়ে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ, এর দু’বারের ভাঁজ খুললে ফোন নয়, হাতের মুঠোয় আস্ত একটা ট্যাব পাবেন ব্যবহারকারী, যার সম্পূর্ণ স্ক্রিনের মাপ ১০.২ ইঞ্চি।