New Smart Phone and Nano Chip

বাজারে আসছে তিন ন্যানোমিটারের চিপ! জুনের শেষে বাজার কাঁপাচ্ছে কোন কোন স্মার্টফোন?

জুনের শেষে বাজারে নতুন স্মার্টফোন এনেছে ওয়ানপ্লাস। অন্যদিকে তিন ন্যানোমিটারের চিপ আমজনতার জন্য তৈরি করার কথা ঘোষণা করে দিয়েছে চিনা টেক জায়ান্ট ‘হুয়াওয়ে’।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫ ১৪:৪৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রযুক্তির দুনিয়ায় বিপ্লব ঘটাতে চলেছে ‘হুয়াওয়ে’। এ বার তিন ন্যানোমিটারের চিপ বাজারে আনতে চলেছে চিনা টেক জায়ান্ট সংস্থা। কোম্পানির কর্তা-ব্যক্তিদের দাবি, চলতি আর্থিক বছরের (পড়ুন ২০২৫-’২৬) তৃতীয় ত্রৈমাসিকের (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) মধ্যে সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি হয়ে যাবে ওই চিপ। এর পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ছা়ড়পত্র পেয়ে সেটি বাজারে আসবে আগামী বছর।

Advertisement

স্মার্টফোন নির্মাণকারী চিনা সংস্থা ‘শিওমি’ কিন্তু ‘হুয়াওয়ে’র আগেই চিপ তৈরি করে দুনিয়াকে চমকে দিয়েছিল। এই প্রতিযোগিতায় টেক জায়ান্ট সংস্থাটির পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ‘হুয়াওয়ে’র উপরে রয়েছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। ফলে বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে এই চিনা টেক জায়ান্ট। যদিও কঠিন পরিস্থিতিতে মোটেই গুটিয়ে যায়নি ‘হুয়াওয়ে’। প্রযুক্তির দুনিয়ায় নিজেদের সুনাম ধরে রাখতে নতুন নতুন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, চিনের শেয়ার বাজারে ‘হুয়াওয়ে’র স্টকের দাম রয়েছে ঊর্ধ্বমুখী। অন্যদিকে, পাঁচ ন্যানোমিটারের নীচে চিপ নির্মাণের প্রযুক্তি এখনও বেজিঙের হাতে নেই। সেই কারণে তিন ন্যানোমিটারের চিপ নির্মাণে দু’টি পদ্ধতি অবলম্বন করছে এই টেক জায়ান্ট সংস্থা। প্রথমটির নাম, ‘গেট অল অ্যারাউন্ড’ প্রযুক্তি। আর দ্বিতীয়টি হল, ‘কার্বন ন্যানোটিউব বেসড’ চিপ। শেষেরটিতে সাফল্য পেলে ‘হুয়াওয়ে’র চিপ প্রযুক্তির দুনিয়ায় নতুন ইতিহাস তৈরি করতে পারে, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

Advertisement

সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটা আবার ২০ বছরের পরমাণু বিদ্যুৎ চুক্তি সেরে নিয়েছে কনস্টেলেশন এনার্জির সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনোয়িস রাজ্যে এই সংস্থার রয়েছে ‘ক্লিন্টন ক্লিন এনার্জি সেন্টার’ নামের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সেখান থেকেই ১.১ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে ওই চুক্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মেটা। ২০২৭ সাল থেকে কনস্টেলেশন এনার্জি ফেসবুকের মূল সংস্থাকে সরবরাহ করবে ওই বিদ্যুৎ।

মেটা সূত্রে খবর, আগামী দিনে বিরাট একটি ডেটা সেন্টার তৈরি করতে চলেছে তারা। এ ছাড়া সংস্থাটির নিজস্ব কৃত্রিম মেধা বা এআই (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স) প্রযুক্তি রয়েছে। এগুলি সচল রাখতে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। সেই কারণেই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে ওই চুক্তি করেছে মেটা। তাদের দেখানো রাস্তা ওপেনএআই বা অ্যামাজ়নের মতো মার্কিন টেক জায়ান্ট সংস্থাগুলিকে হাঁটতে দেখা গিয়েছে।

ডেটা সেন্টার তৈরির পাশাপাশি আগামী দিনে মার্কিন সেনাবাহিনীর জন্য পণ্য উৎপাদনে ‘ঈগল আই’ প্রকল্পে কাজ করছে মেটা। এর জন্য ব্যয় বরাদ্দ হয়েছে ১০ কোটি ডলার। মোট সম্পূর্ণ প্রকল্পটির খরচ ২,২০০ কোটি বলে জানা গিয়েছে। এই প্রকল্পে অ্যান্ড্রুরিল নামের একটি সংস্থার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মেটা বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করবে বলে জানা গিয়েছে।

এ ছাড়া অগ্নুৎপাতের খবর আগাম দিয়ে দিতে বর্তমানে বেশ কিছু ‘লিভিং সেন্সর’ ব্যবহার করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)। জুন মাসে নতুন স্মার্টফোন বাজারে এনেছে ওয়ানপ্লাস। সেই মডেলের নাম ১৩এস। একে প্রবল প্রতিযোগিতার মুখে ফেলতে পারে ভিভোর টিফোর আল্ট্রা। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বাজারে নতুন ফোন আনতে পারে পোকো। আর সেটা ‘কালো ঘোড়া’ হতে চলেছে, বলছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement