—প্রতীকী ছবি।
ইন্টারনেটে ভাইরাল হচ্ছে একের পর এক চোখধাঁধানো ছবি, যার নেপথ্যে আছে কৃত্রিম মেধা বা এআইয়ের (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স) হাতযশ। আরও স্পষ্ট করে বললে অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তিটির ক্ষেত্রেও বাকি সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়েছে মার্কিন টেক জায়ান্ট গুগ্ল। তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জেমিনাই রাজত্ব করছে নেটদুনিয়ায়। ফলে কপাল পুড়েছে ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি এবং চিনা এআই ডিপসিকের।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন, কৃত্রিম মেধার দৌড়ে আরও আগে বিশ্বের এক নম্বর আসনে গুগ্লের উঠে আসা উচিত ছিল। কারণ, মার্কিন টেক জায়ান্টটির হাতে বর্তমানে রয়েছে দুনিয়ার সর্ববৃহৎ তথ্যভান্ডার। তা সত্ত্বেও এআই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি এবং ডিপসিক জাম্বো জেটের গতিতে দৌড়তে থাকায় গুগ্লের হার একরকম নিশ্চিত হয়ে যায়। গোদের উপর বিষফোড়ার মতো গ্রোক নামের একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাজারে আনেন ধনকুবের শিল্পপতি ইলন মাস্ক। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের টেক জায়ান্টটির রক্তচাপ বেড়েছিল।
এর পরই খাদের ধার থেকে ঘুরে দাঁড়ায় গুগ্ল। এআই নিয়ে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কাজ করছে এই সংস্থা। বিশ্লেষকদের দাবি, এত দিন তাদের জেমিনাই কৃত্রিম মেধাটি ছিল আমজনতার বোধগম্যের বাইরে। সংশ্লিষ্ট এআই টুলটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা থাকায় সকলে সেটা ঠিক ভাবে করতে পারতেন না। রাতারাতি সেই জটিলতা সরিয়ে দেয় গুগ্ল, যার ফল হাতেনাতে পাচ্ছে তারা।
অনেকে আবার মনে করেন জেমিনাইকে জনপ্রিয় করতে গোড়ার দিকে সে ভাবে প্রচার করেনি মার্কিন টেক জায়ান্ট। ফলে এআই মানেই চ্যাটজিপিটি— এই ধারণা গ্রাহকের মনে বদ্ধমূল করতে সক্ষম হয় প্রযুক্তিটির নির্মাণকারী সংস্থা ওপেনএআই। এখানে ‘গেম চেঞ্জার’ হিসাবে কাজ করেছে ভিয়ো-৩ এবং ন্যানো-বানানা। জেমিনাইয়ের এই দু’টি টুল ব্যবহার করে ইচ্ছেমতো ছবি এবং ভিডিয়ো তৈরি করতে পারছেন গ্রাহক, যার জেরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংশ্লিষ্ট কৃত্রিম মেধাটির জনপ্রিয়তা।