— প্রতীকী ছবি।
স্মার্টফোনের মাথায় রোবট ক্যামেরা! যে দিকে খুশি ঘাড় ঘুরিয়ে দিব্যি ছবি তুলতে পারে ওই ডিভাইস। তাতে আবার মেশানো হয়েছে কৃত্রিম মেধা বা এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) প্রযুক্তি। ফলে নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে সংশ্লিষ্ট ক্যামেরা। টেক দুনিয়ায় বিপ্লব আনতে এ-হেন স্মার্টফোন তৈরির চিন্তাভাবনা এ বার প্রকাশ্যে আনল ‘অনার’। রাতারাতি ভোল পাল্টে মুঠোবন্দি ডিভাইস ঠিক ওই রকম হয়ে গেলে কতটা সুবিধা হবে আমজনতার? কোন ক্ষেত্রে রয়েছে বিপত্তির আশঙ্কা? আনন্দবাজার ডট কম-এর এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
সম্প্রতি প্রস্তাবিত রোবট-স্মার্টফোনের একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে মুঠোবন্দি ডিভাইস নির্মাণকারী সংস্থা ‘অনার’। সেখানে ফোনের মাথায় একটি ‘গিম্বল’ ক্যামেরাকে দেখিয়েছে তারা। চালু থাকা অবস্থায় ভিডিয়ো বা ছবি তোলার সময় নিজে থেকে সব কিছু ‘অ্যাডজাস্ট’ করার ক্ষমতা রয়েছে তার। ফলে কোন দিক থেকে ক্লিক করলে ছবি সবচেয়ে ভাল আসবে, তা আলাদা করে চিন্তা করতে হবে না ব্যবহারকারীকে।
সংশ্লিষ্ট ক্যামেরায় কৃত্রিম মেধা প্রযুক্তি থাকায় প্রয়োজনমতো এটি ঘাড় ঘুরিয়ে চারদিকে দেখা নিতে পারে। ফলে নির্দেশ পেলেই চটপট গ্রাহকের সেলফি পর্যন্ত তুলে দেবে এই ডিভাইস। এককথায় তিন নম্বর চোখ হয়ে চারদিকে ঘটনাপ্রবাহের উপর নজরদারি (পড়ুন ট্র্যাকিং) চালাতে পারবে স্মার্টফোনের ওই রোবট-ক্যামেরা। তার পরেও ব্যবহারের ক্ষেত্রে কতটা সুবিধা পাওয়া যাবে, তা নিয়ে গ্যাজেট বিশ্লেষকদের মনে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
এর নেপথ্যে অবশ্য একাধিক কারণের কথা বলেছেন তাঁরা। প্রথমত, ফোনের গায়ে ওই ধরনের একটি ডিভাইস থাকার জন্য ব্যাটারি পুড়বে অনেক বেশি। ফলে ফোনকে বার বার চার্জ দিতে হতে পারে। দ্বিতীয়ত, সংশ্লিষ্ট রোবট-ক্যামেরার জন্য ফোনের ভিতরে ঢুকতে পারে ধুলো-ময়লা। তা ছাড়া হাত থেকে পড়ে গিয়ে এর কোনও ক্ষতি হলে তা সারাতে মোটা টাকা গচ্ছা দিতে হবে গ্রাহককে।
বিশ্লেষকদের একাংশ আবার স্মার্টফোনের রোবট-ক্যামেরার সঙ্গে কয়েক বছর আগে বাজারে আসা পপ-আপ ক্যামেরার তুলনা টেনেছেন। তাঁদের যুক্তি, ওই প্রযুক্তিরই উন্নত ভার্সান প্রস্তাবিত মুঠোবন্দি ডিভাইসে দেখিয়েছে ‘অনার’। এর দাম যে যথেষ্ট বেশি হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে প্রস্তাবিত ফোনটি বাজারে এলে মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্তরা কতটা সেটা ছুঁতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।