প্রতীকী ছবি।
দেশের অন্যতম ধনকুবের শিল্পপতি তথা রিলায়্যান্স কর্তা মুকেশ অম্বানীর মুম্বইয়ের বাড়ির ছাদে সব সময় দাঁড়িয়ে থাকে হেলিকপ্টার। কিন্তু, তা সত্ত্বেও সেটা নিয়ে ইচ্ছেমতো আকাশে উড়তে পারেন না তিনি। শুধু মুকেশ অম্বানীই নন, মুম্বইয়ের অন্যান্য ধনকুবেরের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। এর নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ। আনন্দবাজার ডট কমের এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
মুম্বইয়ের আকাশ দেশের মধ্যে সর্বাধিক ব্যস্ত বললে অত্যুক্তি করা হবে না। সব সময় বাণিজ্য নগরীতে ওঠানামা করে যাত্রিবাহী বিমান এবং চার্টার্ড উড়োজাহাজ। সেখানে রয়েছে দু’টি বিমানবন্দর। এর মধ্যে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটির গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। অন্য দিকে, আকারে ছোট হওয়ায় মূলত চার্টার্ড বিমানের জন্য ব্যবহার হয় জুহু বিমানবন্দর।
এ ছাড়া মুম্বইয়ে রয়েছে একাধিক নৌঘাঁটি। তেলের বিরাট বিরাট ডিপোও রয়েছে সেখানে। বাণিজ্য নগরীর জনঘনত্ব খুব বেশি। ফলে কোনও কারণে কপ্টার দুর্ঘটনা হলে বহু মানুষের জীবনহানির আশঙ্কা থাকবে। সেই কারণে প্রশাসনের তরফে যখন-তখন হেলিকপ্টার ওড়ানোর অনুমতি পান না মুকেশ অম্বানীর মতো ধনকুবের শিল্পপতি।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাকিস্তান মদতপুষ্ট লশকর-এ-ত্যায়বার জঙ্গিদের হামলায় রক্তাক্ত হয় মুম্বই শহর। ওই ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তার খাতিরে কড়াকড়ি বাড়িয়েছে প্রশাসন। বর্তমানে অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ কোনও প্রয়োজন, চিকিৎসার কারণে এয়ারলিফ্ট করা বা চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের জন্য কপ্টার ওড়ানোর অনুমতি দিয়ে থাকে ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন বা ডিজিসিএ। ওই অফিসার ছাড়াও কপ্টার ওড়াতে পুলিশ এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তার থেকে সবুজ সঙ্কেত পেতে হয়।