প্রতীকী চিত্র।
সকলে পর্যটক নন। ভ্রমণে বেরিয়ে নিজেকে ‘পর্যটক’ হিসেবে তুলে ধরার জন্য কতগুলি অলিখিত নিয়ম রয়েছে। বাঙালি দুর্গাপুজো বা বছর শেষে মূলত ঘুরতে পছন্দ করে। কিন্তু ভ্রমণের আনন্দে অনেক সময়েই পর্যটক হিসেবে কিছু নিয়ম অনেকেই ভুলে যান। তার ফলে গন্তব্যস্থানে তাঁকে নিয়ে স্থানীয়দের মনে বিরক্তির উদ্রেক ঘটতে পারে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে বচসাও হতে পারে। তাই পুজোয় ঘুরতে গেলে আবশ্যিক কতগুলি শর্ত খেয়াল রাখা উচিত।
১) ঘুরতে গিয়ে দর্শনীয় স্থানে প্রকাশ্যে অনেকেই জোরে কথা বলেন। খেয়াল রাখা উচিত, বিভিন্ন জায়গার স্থানীয় নিয়মকানুন আলাদা। যেমন টোকিয়োয় ভিড় ট্রেনেও কেউ জোরে কথা বলেন না। তাই প্রকাশ্যে কখন কী ভাবে কথা বলা হচ্ছে, তা খেয়াল না করলে অন্যদের বিরক্তির উদ্রেক হতে পারে।
২) গন্তব্যে পৌঁছনোর আগে সেখানকার স্থানীয় সংস্কৃতি এবং নিয়মকানুন জেনে রাখলে সুবিধা হয়। কোথাও রেস্তরাঁয় জুতো খুলে প্রবেশ করার চল রয়েছে। আবার কোথাও জিনিস কেনার আগে বিক্রেতার সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়কে ক্রেতার ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক হিসেবে ধরা হয়।
৩) কোনও কোনও দর্শনীয় স্থানে বা বিশেষ করে তীর্থক্ষেত্রে পোশাকের ব্যাপারে বিধিনিষেধ থাকে। যেমন অন্ধ্রপ্রদেশে তিরুপতি মন্দিরে ট্রাউজ়ার পরে প্রবেশ নিষেধ। পরিবর্তে ধুতি জাতীয় পোশাক পরতে হয়। আগে থেকে জানা না থাকলে গন্তব্যে পৌঁছে তা সমস্যার কারণ হতে পারে।
৪) বিমান সফরে ভারতের ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে এক জনের ১৫ কেজি পর্যন্ত লাগেজের (চেক ইন লাগেজ অতিরিক্ত ৭ কেজি) অনুমতি রয়েছে। কিন্তু বিপুল পরিমাণে মালপত্র সঙ্গে বহন করলে, চেক ইন কাউন্টারে তা অন্য যাত্রীদের বিরক্তির কারণ হতে পারে। আগে থেকে মালপত্রের ওজন করিয়ে নেওয়া এবং অতিরিক্ত লাগেজ অগ্রিম বুকিং করা থাকলে সমস্যা হবে না।
৫) ঘুরতে গিয়ে অনেকেই এখনও ভ্রমণ সহায়ক বই বা অ্যাপের উপর নির্ভর করেন। এই অভ্যাসের ফলে গন্তব্য স্থানের মূল দর্শনীয় জিনিসগুলি অবশ্যই দেখে নেওয়া যায়। কিন্তু এক জন অভিজ্ঞ পর্যটক গন্তব্যে পৌঁছে ইন্টারনেট ছাড়াও স্থানীয় মানুষদের থেকে খোঁজখবর করেন। তার ফলে সফরে ভোগান্তি অনেকটাই কমে।