Tourism

সবুজ থাকুক পর্যটন

টুরিস্ট স্পটের পরিবেশ রক্ষার্থে সহায় হতে পারে গ্রিন টুরি‌জ়মটুরিস্ট স্পটের পরিবেশ রক্ষার্থে সহায় হতে পারে গ্রিন টুরি‌জ়ম

Advertisement

নবনীতা দত্ত

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২০ ০১:৫৭
Share:

যত দিন যাচ্ছে, পরিবেশ রক্ষার দায়িত্বও তত বাড়ছে। বেড়ানোর উদ্দেশ্যে কত প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন পর্যটকদের গমনাগমন। ফলে গাড়ির ধোঁয়ায়, বর্জ্যে নষ্ট হচ্ছে সেখানকার পরিবেশ। প্রকৃতিকে ধরে রাখতে সহায় হতে পারে গ্রিন টুরিজ়ম। ভুটান এই ধরনের টুরিজ়মের উদাহরণ। এ ছাড়া ফুকেটেও এখন ব্যাটারিচালিত ফেরি সার্ভিস চালু হয়েছে। আমাদের দেশে মওলিনং ও মাথেরানেও পরিবেশবান্ধব উপায়ে পর্যটনকে উৎসাহ দেওয়া হয়। এই দুই জায়গায় ধূমপান নিষিদ্ধ। গ্রিন টুরিজ়মের জন্য সরকার থেকে যেমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তেমন পর্যটকদের উপরেও কিছু দায়িত্ব বর্তায়।

Advertisement

কী কী করবেন?

Advertisement

• গন্তব্যে পৌঁছে আশপাশে ঘোরার জন্য সাধারণত গাড়ি বুক করা হয়। গাড়ির জায়গায় ই-বাইক বা সাইকেল ভাড়া নিয়ে নিতে পারেন দিনকয়েকের জন্য। সাইকেলে বা ই-বাইকে কার্বন এমিশন হয় না। ফলে দূষণের হাত থেকে রক্ষা পায় পরিবেশ। গ্রিন টুরিজ়মে হাইকিং ও ট্রেকিংয়ে উৎসাহ দেওয়া হয়।

• খাওয়াদাওয়া এবং থাকার জন্য স্থানীয়দের বাড়ি বা হোমস্টে ভাড়া নেওয়াই ভাল। হোটেল বুকিংয়ের আগে সেগুলি পরিবেশবান্ধব কি না খোঁজ নিন।

• ঘোরার সময়ে বিস্কিটের প্যাকেট, জলের বোতল যেখানে-সেখানে ফেলবেন না। বেড়ানোর জায়গায়, তা সে দুর্গম পাহাড়ই হোক বা জঙ্গল... সব জায়গায় এখন প্লাস্টিকের বর্জ্য চোখে পড়ে। এ ক্ষেত্রে দায়িত্ব বাড়বে দ্বিগুণ। প্রথমত আপনি কোনও বর্জ্য ফেলতে পারবেন না, দ্বিতীয়ত কোনও বর্জ্য দেখলে তা সংগ্রহ করে ঠিক জায়গায় ডিসপোজ় করার ব্যবস্থা করতে পারেন।

• ঘুরতে গিয়ে পশুপাখির বাসস্থানের পরিবেশ নষ্ট করবেন না। অনেকেই সমুদ্রের ধারে বা পাহাড়ি হোটেলে পোর্টেবল স্পিকার নিয়ে গিয়ে জোরে গান চালিয়ে দেন। এতে কিন্তু স্থানীয় পশুপাখিরা বেশ ভয় পেয়ে যায়। তাই এই ধরনের আচরণ থেকে বিরত থাকতে হবে।

• দুর্গম পাহাড়ে বা প্রত্যন্ত গ্রামে বিদ্যুৎ এবং জলের সরবরাহ কম। কিছু খাবারও সমতল থেকে নিয়ে যেতে হয় বলে ব্যয়সাপেক্ষ। তাই তা নষ্ট করবেন না। কিছু জায়গায় রাতের পরে বিদ্যুৎ সংযোগও থাকে না। তাই যেখানে যাচ্ছেন, সেখানকার আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে একটা ধারণা থাকা জরুরি। অহেতুক ইলেকট্রিক ও জল নষ্ট করবেন না। সুযোগ থাকলে স্থানীয় জলাশয়ে স্নানের কাজ সারতে পারেন, এতে জলের অপচয় কম হবে।

• প্রকৃতির মাঝে ধূমপান থেকেও বিরত থাকুন।

ট্রেনে যাতায়াত করলে কিন্তু দূষণ সবচেয়ে কম হয়। তাই হাতে একটু সময় নিয়ে ট্রেনে যাত্রা করাই সবচেয়ে ভাল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন