Honeymoon Destination

পাহাড়ি গ্রামের শান্ত পরিবেশে মধুচন্দ্রিমা হবে আরও রঙিন! ঘুরে আসুন কাফেরগাঁও

অজানা বাঁকের হাতছানি, উড়ে আসা মেঘ, দিগন্তে কাঞ্চন আর পাইনের জঙ্গল ঘেরা ছোট্ট গ্রাম কাফের। অল্প সময় কাছেপিঠে ঘুরতে যেতে চাইলে এই গ্রামকে রাখতেই পারেন আপনার পছন্দের তালিকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:২৭
Share:

মেঘে মোড়া কাফের গাঁও। ছবি: সংগৃহীত।

মধুচন্দ্রিমা মানেই এখন হয় মলদ্বীপ, আর নয় মরিশাস! ফেসবুক খুললেই দেখা যাচ্ছে মধুচন্দ্রিমার জন্য ভারতীয়রা ভিড় জমাচ্ছেন এই দুই দেশে। তবে এই দেশেও কিন্তু মধুচন্দ্রিমা কাটানোর অনেক জায়গা আছে। স্বল্প বাজেটে চেনা শহরের বাইরে শান্ত পরিবেশে প্রিয়জনের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে চাইলে আপনার গন্তব্য হতে পারে উত্তরবঙ্গের কাফের।

Advertisement

অজানা বাঁকের হাতছানি, উড়ে আসা মেঘ, দিগন্তে কাঞ্চন আর পাইনের জঙ্গল ঘেরা ছোট্ট গ্রাম কাফের। উচ্চতা ৫২০০ ফুট। কালিম্পং জেলার লাভা বা লোলেগাঁওয়ের কাছে এই কাফের দিন দিন পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়ও হয়ে উঠছে। এই গ্রামে মাত্র ১৫০ থেকে ২০০ জনের বাস।

বিলাসবহুল হোটেলের আধিক্য নেই এই গ্রামে। পাবেন হোমস্টেগুলির উষ্ণ আপ্যায়ন। সৌন্দর্যমণ্ডিত সেই ছোট্ট গ্রামে দূষণ নেই, কোলাহল নেই, ব্যস্ততা নেই, আছে শুধু অপার শান্তি। সুখানুভূতি আর প্রাণভরে নিশ্বাস নেওয়ার জন্য দেদার অক্সিজেন। আর হ্যাঁ, অবশ্যই আছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গের নজরকাড়া রূপ। মেঘের আনাগোনা, চারদিকে সবুজের হাতছানি দেখে চোখ জুড়োবে তা নয়, মনকেও করবে আহ্লাদিত। প্রিয়জনের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর জন্য এমন পরিবেশ পেলে তো আর কোনও কথাই নেই।

Advertisement

সৌন্দর্যমণ্ডিত সেই ছোট্ট গ্রামে দূষণ নেই, কোলাহল নেই, ব্যস্ততা নেই, আছে শুধু অপার শান্তি।

হোমস্টে থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন স্পটে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। হোমস্টের ঘর কিংবা লনে বসেই আপনি প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধের আস্বাদ নিতে পারবেন। মন চাইলে বেরিয়ে পড়তে পারেন জঙ্গল ভ্রমণে। মায়াবি আলো-আঁধারিতে হারিয়ে যেতে মন্দ লাগবে না। আপনার আর প্রিয়তমার সঙ্গী হবে কেবল নিস্তব্ধতা। হোমস্টে-র ঠিক নীচেই রয়েছে কয়েক ঘর বসতি। চাইলে লোয়ার কাফেরটিও পায়ে হেঁটেই ঘুরে দেখতে পারেন। প্রতিটা বাড়িতে বাহারি ফুল। সহজ-সরল অনাড়ম্বর জীবনও বেরঙিন নয়। বরং রঙের প্রাচুর্যে প্রাণের ছোঁয়া।

এক-দু’দিন কাফের উপভোগ করার পর আপনার পরবর্তী গন্তব্য হতেই পারে লাভা-লোলেগাঁও-রিশপ। সূর্যোদয় দেখতে ঘুরে আসা যায় ঝান্ডিদাড়া।

মায়াবি আলো-আঁধারিতে হারিয়ে যেতে মন্দ লাগবে না।

কী ভাবে যাবেন?

নিউ মাল স্টেশন থেকে কাফেরের দুরত্ব প্রায় তিন ঘণ্টার। বাগরাকোট হয়ে লোলেগাঁও এসে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পৌঁছে যাবেন এই পাহাড়ি গ্রামে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে কালিম্পং, লাভা হয়েও আসা যায় এখানে। হোমস্টে থেকেই গাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় নিউ মাল স্টেশনে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করেও পৌঁছে যেতে পারেন কাফের। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকেও পেয়ে যাবেন ভাড়া গাড়ি।

কোথায় থাকবেন?

কাফের হোমস্টে। যোগাযোগ: সুনীল তামাং ৯৮৩২৩১১৫০৫

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন