মুঠো খবর

এক ঝলকে ঘুরে আসা ভিন্ন স্বাদের খবর-দুনিয়ায়...এক ঝলকে ঘুরে আসা ভিন্ন স্বাদের খবর-দুনিয়ায়...

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৪ ০০:২৫
Share:

রোমান গ্ল্যাডিয়েটর স্কুলের সন্ধান মিলল ভিয়েনায়

Advertisement

দানিয়ুবের তীরে ভিয়েনা শহর। প্রায় ১৭ লক্ষ নাগরিকের বসবাস এখানে। তবু কেউই বোধ হয় জানতেন না পায়ের তলায় ঘুমিয়ে রয়েছে ১৮০০ বছরের পুরনো ইতিহাস। প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যে অস্ট্রিয়ার রাজধানীর পূর্ব প্রান্তে খোঁজ মিলল দ্বিতীয় শতকের প্রথমার্ধে তৈরি বিশালাকার এক রোমান গ্ল্যাডিয়েটর স্কুলের। আকারে, আয়তনে অনায়াসেই যার তুলনা চলে রোমান কলোসিয়ামের পিছনে অবস্থিত গ্ল্যাডিয়েটর স্কুলটির সঙ্গে। প্রায় ২৮০০ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে ভিয়েনার এই গ্ল্যাডিয়েটর স্কুল। সম্প্রতি ইউরোপের এক দল গবেষক দানিয়ুব নদী তীরের উপগ্রহ চিত্র পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে হঠাৎই এই রোমান স্থাপত্যটির সন্ধান পান। পাঁচিল ঘেরা গ্ল্যাডিয়েটর স্কুলটি দানিয়ুবের তীরে ‘রোমান কারনুনতাম’-এর অ্যাম্ফিথিয়েটার অংশবিশেষ বলে ধারণা করছেন গবেষকরা। ইতিহাস বলছে, ইউরোপের চতুর্থ বৃহত্তম ওই অ্যাম্ফিথিয়েটারটির সন্ধান মেলে ১৯২৩ থেকে ১৯৩০-এর মধ্যে। সেই অ্যাম্ফিথিয়েটারের দর্শক আসন সংখ্যা ছিল প্রায় ১৩০০০। ভিয়েনা থেকে ‘কারনুনতাম’-এ আসার মূল সড়কটির বাঁ দিকেই গ্ল্যাডিয়েটর স্কুলটি প্রথম সন্ধান মেলে উপগ্রহ চিত্রে। আর তার পরেই শুরু হয় খোঁড়াখুঁড়ি।

এক কোটি ডলারের স্বর্ণমুদ্রার খোঁজ মিলল ক্যালিফোর্নিয়ায়

Advertisement

সোনার দেশে ফের সোনার খোঁজ। প্রায় খনিরই সমান! আজকের মূল্যে অন্তত এক কোটি ডলার। ক্যালিফোর্নিয়ার গ্রামাঞ্চলে নিজেদের বাড়ির চত্বরে হাঁটছিলেন এক দম্পতি। হঠাৎই স্ত্রীর পায়ে কিছু একটা ঠেকে। দেখেন মাটি থেকে উঁকি মারছে একটি মরচে ধরা ক্যানের মতো কিছু। মাটি ক্ষয়ে গিয়ে ক্যানের অংশ বেরিয়ে এসেছে। ক্যান খুলতেই দম্পতির চোখ কপালে। ভিতরে যে ঠাসা সোনার মুদ্রা! আশপাশে এর পর আরও খোঁড়াখুড়ির পরে মোট আটটি ওই রকম ক্যান পান তাঁরা। সব মিলিয়ে ১৪২৭টি মুদ্রা। ৫, ১০ এবং ২০ ডলারের মুদ্রাগুলি সবই ক্রম অনুযায়ী সাজানো ছিল ক্যানের ভিতরে। মুদ্রাগুলি ১৯ শতকের বলে জানা গিয়েছে। গত বছর ফেব্রুয়ারির ঘটনা। যা প্রকাশ্যে আসে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে। আর এই ঘটনা ফের উস্কে দিয়েছে ১৯ শতকে ক্যালিফোর্নিয়ার স্বর্ণ-উন্মাদনার স্মৃতি।নিরাপত্তার স্বার্থে ওই মাঝ-বয়সি দম্পতির নাম, ঠিকানা প্রকাশ করা হয়নি। এ যুগে আবার সোনার টানে খেপে গিয়ে গোটা পৃথিবী থেকে মানুষ যদি তাঁদের বাড়ি গিয়ে হামলে পড়েন! ক্যালিফোর্নিয়ায় তেমনই তো হয়েছিল ১৮৪৮ থেকে ১৮৬৪-এর মাঝামাঝি সময়ে। এখানকার কলোমা এলাকা সাক্ষী সেই স্বর্ণ-স্মৃতির। আমেরিকা আর তার বাইরে থেকে অন্তত তিন লক্ষ মানুষ ছুটে এসেছিলেন সোনার ভাগ নিতে। গোটা ক্যালিফোর্নিয়ার ভোল পাল্টে গিয়েছিল এই স্বর্ণ-উন্মাদনার পরে।

জেলায় জেলায় পর্যটক টানতে নয়া রূপরেখা তৈরিতে রাজ্য

সুন্দরবন বা ডুয়ার্সের পাশাপাশি এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে পর্যটনের নানা আকর্ষণ। পর্যটনে গুরুত্ব বাড়াতে সেই সব জেলায় ভিন্ রাজ্যের এবং বিদেশি পর্যটক টানতে চায় রাজ্য সরকার। এ কারণে তৈরি হচ্ছে নয়া রূপরেখা। কেমন সে রূপরেখা? পর্যটন দফতর সূত্রে খবর, দিঘা-শঙ্করপুর ও বকখালি-ফ্রেজারগঞ্জকে ঘিরে ‘বিচ ট্যুরিজম’, জলদাপাড়া-দলমার মতো নির্দিষ্ট কিছু জায়গা নিয়ে ‘ওয়াইল্ড লাইফ ট্যুরিজম’, দুর্গাপুজো, বসন্ত উৎসব, পৌষমেলা, সাগরমেলার মতো বিষয়গুলোকে নিয়ে ‘কালচার ট্যুরিজম’, জেলায় জেলায় ছড়িয়ে থাকা কিছু সাবেক প্রাসাদ ও রাজবাড়ি নিয়ে ‘হেরিটেজ ট্যুরিজম’-এর পরিকল্পনা করা হয়েছে। ‘ক্রাফ্ট ট্যুরিজম’-এর বিষয় হিসাবে ভাবা হচ্ছে বাঁকুড়ার টেরাকোটা ও বালুচরী-স্বর্ণচরী শিল্প, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদের জরি ও সিল্কের কাজকে। পর্যটনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “কেবল এ রাজ্যে ১৩টি সতীপীঠ আছে। এগুলোকে প্রচারের আলোয় আনা গেলে ‘রিলিজিয়ন ট্যুরিজম’-এর ক্ষেত্রও অনেকটা প্রশস্ত হবে।”

হোয়াইট হেরন বাঁচাতে প্রয়াস

বিশ্বে তাদের সংখ্যা মাত্র আড়াইশো। ‘অত্যন্ত বিপন্ন’ প্রজাতির তালিকা ভুক্ত সাদা পেটের হেরন। এরা হেরন পরিবারের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম। ২০০৮ সালে চিরাং জেলার কয়লাময়লা এলাকায় প্রথম দর্শনের পরে গত বছর ফের তাদের দেখা মিলেছে মানসে। সংরক্ষণকর্মীদের আশঙ্কা, বিপন্ন সাদা পেটের হেরনরা জঙ্গলের গভীরে যে সব এলাকায় বাসা বেঁধেছে সেগুলি জঙ্গি অধ্যুষিত এলাকা। তাই সংরক্ষণকর্মীরা সেখানে গিয়ে এই দুর্লভ পাখির ব্যাপারে তথ্য জোগাড় করতে পারছেন না। সম্ভব হচ্ছে না সংরক্ষণের প্রয়াসও। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, এট্রির তরফে এই পাখি বাঁচাতে স্থানীয় গ্রামবাসীদের নিয়ে ‘হেরন গার্ডিয়ান’ নামে একটি দল গড়া হয়েছে।

বিশ্বযুদ্ধের প্রদর্শনীতে ভারতীয়ের চিঠি

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ‘ওয়ার স্টোরিজ: ভয়েসেস ফ্রম দ্য ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড ওয়ার’ প্রদর্শনীতে এক ভারতীয় সেনার চিঠি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একশো বছর পূর্তি উপলক্ষে ইউরোপ-ব্যাপী যে কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে তার মধ্যে এই প্রদর্শনীটি রাখা হয়েছে। ১২ জন লেখকের চিঠি এই প্রদর্শনীতে জায়গা পেয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ওই ভারতীয় সেনার লেখে চিঠি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের হয়ে লড়তে গিয়ে আহত হন তিনি। চিঠিটি সে সময়ই পরিবারের উদ্দেশে লিখেছিলেন তিনি।হাসপাতালে বন্দি অবস্থায় তিনি পরিবারকে লিখেছিলেন, “আমার জন্য চিন্তা করো না। আমি স্বর্গে রয়েছি। রাজা গত সপ্তাহে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। সব ভারতীয়ের সঙ্গে করমর্দন করেছেন।” আপাত ভাবে খুবই সাধারণ অভিজ্ঞতার কথা লেখা। কিন্তু যুদ্ধ-অভিজ্ঞতার অন্যতম দলিল হিসেবেই সেটিকে প্রদর্শনীতে রাখার কথা ভাবেন আয়োজক জোডি ইস্ট। তথ্য বলছে, অবিভক্ত ভারত থেকে সে সময় প্রায় বারো লক্ষ সেনা ব্রিটেনের হয়ে যুদ্ধে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে মৃত্যু হয় প্রায় ৭৪ হাজারের। যাঁরা বেঁচে ফিরেছিলেন, তাঁদের জন্যও তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার কোনও সুযোগ-সুবিধার বন্দোবস্ত করেনি। অবহেলার ইতিহাসের একশো বছর পূর্তিতে অ-মূল্য সেই অভিজ্ঞতাগুলোর একটি খণ্ডাংশ মেলে ধরতে চাইছেন জোডি ইস্ট। তাতে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের নয়া খোঁজটুকু অন্তত যাতে শুরু করা যায়, সে চেষ্টাই করছেন তিনি!

পাহাড়ে যোগাযোগ বাড়াতে আরও বাস চালাবে নিগম

সমতল-পাহাড়ের যোগাযোগ আরও বাড়াতে নতুন ১৩টি বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম। বর্তমানে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং-কার্শিয়াঙে নিগমের ১৫টি বাস চলাচল করে। নতুন বাসগুলির বেশির ভাগ শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি-কোচবিহার এই তিন রুটে চালানোর কথা রয়েছে। নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, শীঘ্রই কোচবিহার, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট থেকেও দার্জিলিং যাতায়াত করবে। ইসলামপুর-দার্জিলিং রুটেও বাস চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে নিগম। প্রথম পর্যায়ে অবশ্য জলপাইগুড়ি ডিপো থেকেই দার্জিলিংগামী বাস ছাড়বে। তার পরে উত্তরবঙ্গের অন্য জেলা শহর এবং মহকুমা থেকেও দার্জিলিঙে বাস চালাবে নিগমের পরিচালন কমিটি। শুধু উত্তরবঙ্গের মধ্যেই নয়, সিকিমেও নতুন বাস চালাবে নিগম। কালিম্পং থেকে সিকিমের গ্যাংটক এবং দার্জিলিং থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত নতুন দু’টি রুটে বাস চালানোর অনুমতি পেয়েছে নিগম। সে রুটেও খুব শিগগিরি বাস চালানো শুরু হবে।

কবিরাজখানা

রাজ্যশাসনের সঙ্গে সঙ্গে কোচবিহারের মহারাজারা নানা জনহিতকর কাজও করে গেছেন প্রজাদের জন্য। রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজের সঙ্গেই প্রজাদের স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, পানীয় জল সরবরাহ এ সবের ব্যবস্থায় ব্যাপৃত থেকেছেন। চিকিৎসার জন্য আধুনিক হাসপাতাল ও অ্যালোপ্যাথ চিকিৎসার পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে ইউনানি চিকিৎসার ব্যবস্থাও করে গিয়েছেন। এ ভাবে আয়ুর্বেদ চিকিৎসার জন্য আয়ুর্বেদ চিকিৎসালয় গড়ে বিখ্যাত কবিরাজদের নিযুক্ত করেন। এখানে শুধু প্রজারাই নয়, রাজ পরিবারের সদস্য চিকিৎসা করাতেন। কোচবিহার রাজপ্রাসাদের কাছে এক সময় বেশ খানিকটা জায়গা নিয়ে তৈরি হয়েছিল আয়ুর্বেদ চিকিৎসালয় ‘কবিরাজখানা’। এখানে ছিল নানা ঔষধির গাছগাছড়া। এক সময় এই কবিরাজখানায় রাজবৈদ্য হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন বিরজাচরণ গুপ্ত, যাঁর লেখা আয়ুর্বেদিক গ্রন্থ ‘বনৌষধি দর্পণ’ (প্রকাশ কাল: ১৯০৮)। চিকিৎসার পাশাপাশি উনি এখানে নানা কবিরাজি ওষুধ তৈরিও করাতেন। ওষুধ তৈরির জন্য বিভিন্ন গাছগাছড়ার প্রয়োজনে মহারাজ দেশবিদেশ থেকে নানা গাছ গাছড়া, কবিরাজি লতাপাতা আনিয়ে শহরের উত্তর প্রান্তে এক বাগান তৈরি করেছিলেন, যা ‘কবিরাজবাগান’ নামে পরিচিত ছিল। বাগান ধ্বংসের পথে। কবিরাজখানার পুরনো ভবন আর নেই, কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট এক ছোটখাটো বাড়ি তৈরি করেছে। তাতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ও অন্য কর্মী নিয়োগ করে চিকিৎসা ব্যবস্থা জারি রেখে রাজ-ঐতিহ্য বজায় রাখা হচ্ছে। রোজ প্রচুর রোগী এখানে চিকিৎসা করাতে আসেন ও তাঁদের ওষুধ দেওয়া হয় দাতব্য কবিরাজখানা থেকে।

এভারেস্ট চড়ার খরচ কমলো

মাউন্ট এভারেস্টে চড়তে গেলে অনেক কম খরচ হবে বিদেশি আরোহীদের। নেপাল প্রশাসন জানিয়েছে, ২০১৫ থেকে এভারেস্ট অভিযাত্রীদের প্রত্যেককে ১১ হাজার ডলার দিতে হবে। এখন আরোহীপিছু ২৫ হাজার ডলার ‘লাইসেন্স ফি’ হিসেবে দিতে হয় সরকারকে। কিন্তু যদি সাত জনের একটি দল একসঙ্গে আরোহণ করে, সে ক্ষেত্রে ৭০ হাজার ডলার দিলেই অনুমতি মেলে। অনেকে খরচ বাঁচাতে তাই অল্প পরিচিত বা অপরিচিতদের সঙ্গে জোট বেঁধে দল তৈরি করে। সেই প্রবণতা কমাতে লাইসেন্স ফি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর ফলে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত সাউথ কলের পরিচিত পথে যাঁরা আরোহণ করবেন, তাঁদের খরচ অনেকটাই কমবে।

পর্যটকদের জন্য গুচ্ছ পরিকল্পনা

পর্যটক টানতে রাজবাড়িতে ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ চালু করার পাশাপাশি শহরের একাধিক দিঘির সৌন্দর্যায়নে উদ্যোগ নিল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। পাশপাশি, শহরের ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে দোতলা বাস চালানোরও সিদ্ধান্ত নিল দফতর। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব এই প্রসঙ্গে বলেন, “রাজবাড়িতে বাংলা ও হিন্দিতে ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ চালু করতে চাই। বৈরাগীদিঘি, সাগরদিঘি, মদনমোহনের বাড়িকে নিয়ে প্যাকেজ হবে। সেই সঙ্গে শহরে দোতলা বাসও চালানো হবে।” জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, রাজার বাড়ি, সাগরদিঘি, বৈরাগীদিঘি, মদনমোহনের বাড়ি পর্যটকের অন্যতম আকর্ষণ। সাগরদিঘিতে নৌকাবিহার, ফিশিং চেয়ার বসিয়ে মাছ ধরার ব্যবস্থা ও সবুজায়ন বাড়ানোর মতো একাধিক প্রকল্প নিয়ে একটি সংস্থার সঙ্গে পিপিপি মডেলে কাজ শুরুর প্রক্রিয়াও অনেকটা এগিয়েছে। রাজ্য পূর্ত দফতরের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “প্রকল্প কাজ সম্পূর্ণ হলে এই জেলায় পর্যটক আকর্ষণ কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।”

কার্বন দূষণেই বরফ বাংলায়, অকাল বৃষ্টি বিলেতে

ব্রিটেনের লাগাতার ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের প্রবল বৃষ্টি কিংবা দার্জিলিঙের সান্দাকফুতে অকাল তুষারপাতের মধ্যে মিল খুঁজে পাচ্ছেন আবহবিজ্ঞানী এবং পরিবেশবিদেরা। তাঁদের মতে, যে কারণে ব্রিটেন বা দার্জিলিঙে এই অকাল অতিবৃষ্টি বা তুষারপাত, ঠিক তার জন্যই অস্ট্রেলিয়ায় এ বছর রেকর্ড গরম পড়েছে এবং আর্জেন্তিনায় তাপপ্রবাহ বয়েছে। বিশ্বজুড়ে আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের জন্য কার্বনের দূষণকেই দায়ী করেছেন আবহবিদ ও পরিবেশবিদেরা। তাঁরা বলছেন, কার্বন বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা। আর সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়ার জন্যই সারা বিশ্ব জুড়ে আবহাওয়ার এই অবস্থা। গ্রান্থাম রিসার্চ ইনস্টিটিউট অন ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের প্রধান বিজ্ঞানী নিকোলাস স্টার্ন জানিয়েছেন, কার্বন নিঃসরণ বাড়ার ফলেই আবহাওয়ার এমন হঠকারী ব্যবহার। কার্বন নিঃসরণ না কমালে ভবিষ্যতে গোটা বিশ্বই এমন দুর্যোগের কবলে পড়বে বলে জানিয়েছেন স্টার্ন। বিশ্ব উষ্ণায়ণের ফলে যে জলবায়ু পরিবর্তন ঘটছে, তার ইঙ্গিত দিয়েছে আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা, ইন্টার-গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)-ও। তাদের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্ব উষ্ণায়ণের প্রভাবে উত্তর অতলান্তিক মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ বাড়বে। তার প্রভাব অন্যান্য দেশের আবহাওয়াতেও পড়বে বলে পরিবেশবিদেরা মনে করছেন। আর বিশ্ব উষ্ণায়ণের জন্য তারাও দায়ী করেছে অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরনকেই। স্টার্ন বলছেন, ২০০৬ সালের পর থেকে ব্রিটেনে কার্বন ও গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ বেড়েছে। এর ফলেই এই ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটছে। বিশ্বের নানা দেশ থেকে কার্বন নিঃসরণ বেড়ে যাওয়ায় উত্তর মেরু সাগরে বরফ গলতে শুরু করেছে। তার ফলেই বিশ্বে জলস্তর বাড়ছে। বাড়ছে সমুদ্রের জলের তাপমাত্রাও।

পাখিদের বন্ধুরা

কমবেশি বারোশো বিঘা জলাভূমি। লোকে বলে ‘চাপড়ির বিল’। বর্ষার চার-পাঁচ মাস জল থইথই করে। বাকি ক’মাস শুকনো আবাদি জমি। এলাকার মানুষের অন্নদাতা। হাঁসখালির দক্ষিণপাড়ার এই বিলে কয়েক বছর ধরে শীতে আসছে হাজার-হাজার পরিযায়ী। নানা জাতের বক, হরিয়াল, শামুকখোলের পাশাপাশি নাম-না-জানা বহু। কুনজর পড়েছে শিকারিদেরও। পরিযায়ীর ঝাঁক নদিয়ার ওই বিলে নামা শুরু করলেই বেড়ে যায় মোটরবাইকের আনাগোনা। এয়ারগানের গুলি খেয়ে আকাশ থেকে আছড়ে পড়ে পাখি। গত বছর থেকেই এই শিকারিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন গ্রামবাসী। বন দফতরের ভরসায় না থেকে কোমর বেঁধেছেন রামপ্রসাদ মণ্ডল, গোপেন ঘোষ, ইদ্রিস শেখরা। খেতের কাজ করতে-করতেই তাঁরা নজর রাখছেন বিলে। আর ধান সিদ্ধ করা, মুড়ি ভাজার ফাঁকে মোটরবাইকের শব্দ পেলেই বাড়ির পুরুষদের খবর দিচ্ছেন মহিলারা। হাঁসুয়া-লাঠি হাতে বেরিয়ে পড়ছেন গ্রামের মানুষ। তাঁদের একটাই কথা ‘জান থাকতে পাখি মারতে দেব না।’ বসন্ত আসছে। পরিযায়ীদের এ বার নিরাপদে ঘরে ফেরার সময় হল।

পর্যটনে জার্মান-উদ্যোগ

এ বার কলকাতা থেকে আরও পর্যটক টানতে উদ্যোগী হল জার্মানি। ২০১৩-য় দশ হাজার ভিসা দেয় জার্মান সরকার। যার মধ্যে ৭৫০০ ভিসা ছিল ব্যবসা সংক্রান্ত। বাকিরা গিয়েছিলেন নিছক বেড়াতে। জার্মান সংস্থার হয়ে ভারতে কর্মরত রোমিত থিওফিলাস জানান ভারতের অন্যান্য প্রদেশের তুলনায় এ বিষয়ে পিছিয়ে রয়েছে কলকাতা। ২০১৩ -য় প্রায় ২ লক্ষ ভারতীয় যান জার্মানিতে। এ বার তাঁরা অতিরিক্ত আরও ২০ হাজার পর্যটক আশা করছেন। আকর্ষণীয় প্যাকেজও তৈরি করছেন তাঁরা। এর মধ্যে রয়েছে ‘রূপকথার শহর’ প্যারেজ। সিন্ডারেলা, লিট্ল রেড রাইডিংহুড, হ্যামলিনের গল্প ছড়িয়ে রয়েছে জার্মানির বিভিন্ন শহরে। চার রাত-পাঁচ দিন ধরে সেইসব শহরে ঘুরে বেড়ানোর প্যাকেজ যেমন আছে, তেমনই আছে স্যাক্সোনি -র মতোদক্ষিণ জার্মানির রাজ্যে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার প্যাকেজও। জার্মানির মেরিটিম হোটেলের ডিরেক্টর মার্ক স্পাইভি জানান, ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় এখনও জার্মানিতে হোটেল ও অন্য খরচ অনেক কম। ভারতীয় পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের মনমতো খাবারেরও ব্যবস্থা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন