ওজন ৪০ টনের কাছাকাছি। গতি, ঘণ্টায় দু’হাজার দু’শো কিলোমিটার। মেঘ ভাঙতে সেকেন্ড সময় নেয় না। এক পলকে পারি দিতে পারে সমুদ্রের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে। পর্যাপ্ত জ্বালানি ছাড়াই উড়ানে সক্ষম। র্যাডারে ধরা না পড়ার প্রযুক্তিতে আরও বেশি ভয়ানক হয়েছে টিইউ— ওয়ান সিক্স জ়িরো এম। সীমান্ত পার না করেই বহু দূরে থাকা শত্রঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে কোনও ভুল চোখ হবে না রাশিয়ার এই ‘সাদা রাজহাঁস’-এর। নিউক্লিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী এতো দ্রুত গতির বম্বার বিশ্বে আর কোনও দেশের নেই। আমেরিকার এই ধরনের বম্বার বিমান থাকলেও চিন এখনও পর্যন্ত এই প্রযুক্তি আবিষ্কার করতে পারেনি। পাকিস্তানের কাছেও এতো শক্তিশালী যুদ্ধবিমান নেই।
মাস খানেক আগে মস্কোতে গিয়ে সাদা ‘রাজহাঁস’ দ্য টিইউ— ওয়ান সিক্স জ়িরো এম ভাড়ায় চায় দিল্লি। রাশিয়া ভারতের এই আবেদন মন দিয়ে শোনে। দুই বন্ধু দেশের মধ্যে কথাবার্তাও হয়। কাগজপত্র তৈরি করে পরিকল্পনাও একপ্রকার হয়ে যায়। ঠিক হয়, রাশিয়ার সাদা রাজহাঁসের সঙ্গে জুড়বে ভারতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ব্রাহ্মোস। সব বদলে দিল ইউক্রেনের অতর্কিত হানা। টিইউ— ওয়ান সিক্স জ়িরো এম-এর ঘাঁটিতে হামলা হতেই রাশিয়ার কপালে চিন্তার ভাঁজ। ভারতের যা প্রয়োজন, তা সব চেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ল খোদ রাশিয়ার।