২০, ৫০ এবং ১,০০০ টাকার নতুন নোট থেকে বঙ্গবন্ধুর মুখ সরাল অস্থায়ী সরকার। এক হাজার টাকার নোটে মুজিবের পরিবর্তে জায়গা পেল শাহবাগ স্মৃতি সৌধ, জাতীয় সংসদ। ৫০ টাকার নতুন নোটে জায়গা দেওয়া হল দেড়শো বছর পুরনো আহসান মঞ্জিলকে। নোটের উল্টো দিকে ছাপানো হয়েছে জয়নুল আবেদিনের তৈরি ভাস্কর্য সংগ্রামের ছবি। আর ২০ টাকার নোটে একদিকে রয়েছে দিনাজপুরের কান্তজিউ মন্দির এবং অন্যদিকে নওগাঁর বৌদ্ধ বিহার।
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় থেকেই গোটা দেশে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় শেখ মুজিবের মূর্তি। বদলানো হয় শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নামাঙ্কিত হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, প্রতিষ্ঠান। এ বার নোটেও পরিবর্তন!
তা হলে কি এ বার বঙ্গবন্ধুর ছবি দেওয়া পুরনো সব নোট বাতিল হবে? সরকার সমস্ত কাগজের নোট এবং ধাতব মুদ্রা চালু রাখার কথা বলেছে। তার পরও নোটবন্দির সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না! দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে এখন রয়েছে ১৫,০০০ কোটি পুরনো টাকা। ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার পর সব পাকিস্তানি টাকা বাতিল করার ইতিহাস আছে বাংলাদেশের।