হেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার ঘটনার পর থেকেই অশান্ত জম্মু-কাশ্মীরের ভারত ও পাকিস্তান সীমান্ত। পরপর পাঁচ দিন, লাইন অব কন্ট্রোলে রাতের অন্ধকারে গোলাগুলি করছে পাকিস্তান। সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে গুলি চালিয়েছে পুঞ্চ, কুপওয়ারা, বারামুল্লা এবং আকনুরে। জবাব দিয়েছে ভারতও।
সীমানায় এই সাংঘর্ষিক উত্তাপের মধ্যেই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে নিয়ে সেনার সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলে বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন সাত লোক কল্যাণ মার্গে। সূত্রের খবর, রাজনাথ সিংহ, অজিত দোভাল এবং চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহানের সঙ্গে আলোচনার পর সেনাকে সব রকমের স্বাধীনতা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। দেশের সেনার উপর পূর্ণ আস্থা রেখে তিন প্রধানের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন— সন্ত্রাসবাদকে ধ্বংস করাই দেশের জাতীয় সংকল্প। এ দিনের এই বৈঠকের পরই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে আসেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। যিনি ঘটনাচক্রে বিজেপি’র রাজনৈতিক মেন্টর।
বুধবার ‘সুপার ক্যাবিনেট’ বৈঠক ডেকেছেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, নির্মলা সীতারমণ এবং এস জয়শঙ্কর। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামায় নাশকতার পর আবার ২০২৫ সালের এপ্রিল, পাঁচ বছরে দ্বিতীয়বার এমন উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনায় দেশের প্রধানমন্ত্রী। একদিকে জাতীয় নিরাপত্তা এবং অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপ কী হবে, বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অঙ্ক কষছে ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’।