২০০৭। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং অর্থাৎ এনসিইআরটি অ্যাডোলেসেন্স এডুকেশন প্রোগ্রাম চালু করার কথা বলে। যেখানে যৌনতা, বয়ঃসন্ধি, এইচআইভি এবং এডস প্রতিরোধের মতো বিষয়ে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় হলেও দেশ জুড়ে এই পাঠক্রম চালু করা সম্ভব হয়নি। কারণ— রক্ষণশীলদের আপত্তি, অভিভাবকদের একাংশের অনীহা এবং রাজনৈতিক দলের স্বার্থ।
মহারাষ্ট্র। গুজরাত। রাজস্থান। মধ্যপ্রদেশ। ছত্তীসগঢ়ের মতো হিন্দি বলয়ের একাধিক রাজ্যে এখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুয়ারে পৌঁছয়নি ‘সেক্স এডুকেশন’। যদিও অতীতের অবস্থান থেকে অনেক রাজ্যই সরে এসেছে। যেমন কর্নাটক। বয়ঃসন্ধিকালের সচেতনতা তৈরিতে ফিরছে ‘যৌনশিক্ষা’। পশ্চিমবঙ্গে যেমন ২০০০ সালে ‘লাইফস্টাইল এডুকেশন’-এর পাঠ্যক্রম চালু করে সরকার। মাধ্যমিক স্তরে বয়ঃসন্ধি, প্রজনন, নিরাপদ যৌনতা এবং এইচআইভি এবং এডসের মতো বিষয়কে পাঠক্রমে নিয়ে আসে সরকার। ত্রিপুরায় হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। আর তা দেখেই অষ্টম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পাঠক্রমে যৌনশিক্ষা চালুর ভাবনা সরকারের।