যমুনা। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎ নদী। যমুনার মাছ বিক্রি করেই প্রতি বছর ২১ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে বাংলাদেশ। কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের লাইফলাইন যমুনা। চাষাবাদের প্রায় ৯০ শতাংশ জলের উৎস। এই যমুনায় যদি জল না থাকে, কী হবে বাংলাদেশের? পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে ভারত। এখন চিনকে সামনে রেখে ভারতকে চাপে রাখতে চাইছে পাকিস্তান।
তিব্বতের কৈলাস পর্বত থেকে যে চারটি নদীর উৎপত্তি, তার মধ্যে একটি ব্রহ্মপুত্র। সিন্ধু, শতদ্রু নদী ভারত হয়ে চলে গিয়েছে পাকিস্তানে। কর্ণালী নদীর গন্তব্য নেপাল। আর প্রায় গোটা হিমালয় পাড়ি দিয়ে প্রথমে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ, তার পর অসম পার করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ব্রহ্মপুত্র। বাংলাদেশে যার নাম যমুনা। ভারত, বাংলাদেশ এবং চিন— তিন দেশেরই অধিকার রয়েছে ব্রহ্মপুত্রের জলে। তবে প্রাকৃতিক কারণেই ব্রহ্মপুত্রের জল সব থেকে বেশি ব্যবহারের সুযোগ পায় চিন। ভারতে কম করে ৩০ শতাংশ মিষ্টি জলের উৎস ব্রহ্মপুত্র। অন্যদিকে যে নদী নিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এতো দর কষাকষি, সেই তিস্তাও মিশেছে এই ব্রহ্মপুত্রে।
বেজিং নাকি ব্রহ্মপুত্রের জল আটকে দেবে! যদি সত্যিই তাই হয়, তা হলে নতুন বন্ধু পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়তে হবে বাংলাদেশকেই।