—প্রতীকী ছবি।
নিয়মিত চাকরির পাশাপাশি ছুটির দিনে লুকিয়ে অন্য বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন প্রৌঢ়া। তার জন্য প্রায় ৯ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হল পরিচারিকাকে। ঘটনাটি ঘটেছে সিঙ্গাপুরে। স্থানীয় একটি আদালতের রায়ের ভিত্তিতে ফিলিপিন্সের ওই কর্মীকে বিপুল পরিমাণ জরিমানা দিতে হবে। সিঙ্গাপুরে তিনি যাঁর বাড়িতে লুকিয়ে চাকরি করতেন তাঁকেও ছাড় দেয়নি আদালত। ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে তাঁর।
‘চ্যানেল নিউজ় এশিয়া’-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে ৫৩ বছর বয়সি পিডো এরলিন্ডা ওকাম্পো তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে সিঙ্গাপুরে বৈধ ভাবে বসবাস করছেন। তাঁর কাছে চারটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করার অনুমতিপত্র ছিল। ১৯৯৪ সাল থেকে পিডো চারটি বাড়িতে পরিষেবা দিচ্ছিলেন। ২০২৪ সালে মানবসম্পদ মন্ত্রকের হাতে একটি বেনামি তথ্য এসে পৌঁছোয়। জানা যায়, পি়ডো সরকারকে না জানিয়ে চার বছর ধরে ছুটির দিনেও অন্য বাড়িতে পরিষেবা দিয়ে চলেছেন।
প্রায় চার বছর ধরে ৬৪ বছর বয়সি সোহ ওই বেকের বাড়িতে লুকিয়ে অতিরিক্ত কাজ করতেন পিডো। ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে, পিডো মাসে দু’-তিন বার সোহের বাড়ি পরিষ্কার করতেন। তিন-চার ঘণ্টা কাজের জন্য নগদ টাকা পেতেন পিডো। ২০২০ সালে কোভিডের জন্য কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিধিনিষেধ উঠে গেলে ২০২২ সাল থেকে পুনরায় সোহের বাড়িতে কাজ করতে শুরু করেন।
আদালতে এই মামলাটি উত্থাপন করা হলে সোহ স্বীকার করে নেন যে তিনি জানতেন যে পিডো অন্য কোথাও চাকরি করেন। জেনেশুনেও পিডোকে তিনি কাজে নিয়োগ করেছিলেন। সিঙ্গাপুরের আইন অনুসারে, বিদেশি গৃহকর্মসহায়ক বা সহায়িকারা কেবল তাঁদের অনুমোদিত নিয়োগকর্তাদের জন্য কাজ করতে পারবেন। বিশ্রামের দিনগুলিতেও অন্য কোনও কাজ নিতে পারবেন না। এই আইন লঙ্ঘনের ফলে ২০ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। তা ছাড়াও দু’বছরের জেল হতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষে, উভয় শাস্তিই হতে পারে।