ছবি: প্রতীকী।
৩ কোটি টাকার আস্ত একটি বাড়ির মালিক। সেই বাড়ির মালিকের ভাল ভাবে নিঃশ্বাস নিতে গেলেও প্রয়োজন বিপুল অর্থের। মাসে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা। গুরুগ্রামের অভিজাত এলাকায় বসবাসকারী সেই কয়েক কোটি টাকার বাড়ির মালিক এক তরুণ। তিনি লিঙ্কডইনে একটি পোস্টে জানিয়েছেন কী ভাবে উচ্চমানের বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য মাসে ৭.৫ লক্ষ টাকা আয় করা প্রয়োজন। সেই পোস্টের অর্থ হল কোটি কোটি টাকার বাড়ি থাকলেই কেউ শান্তিতে থাকতে পারে না। কারণ খরচ এত বেশি যে ‘শ্বাস’ নেওয়াও যেন তাঁর পক্ষে ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে।
বৈভব জে নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টটি শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে পোস্টের শুরুটা বেশ নজরকাড়া ও চমকপ্রদ। বৈভব লিখেছেন, ‘‘গুরুগ্রামে আমার একটি বাড়ি আছে। এর থেকে আমি বলতে পারি আমার বেঁচে থাকার জন্য প্রতি মাসে ৭.৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন।’’ সেই টাকা কী ভাবে ও কোথায় খরচ হয় তার একটি তালিকা দিয়েছেন তিনি। ৩ কোটি টাকার বাড়ির জন্য গৃহঋণ প্রতি মাসে ২ লক্ষ টাকারও বেশি। বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১২ হাজার টাকা, গাড়ির জন্য ৬০ হাজার টাকা। কৌতুক মিশিয়ে তরুণ লিখেছেন তিন কোটি টাকার বাড়ির মালিকের সাধারণ গাড়ি চড়া শোভা পায় না। তাই বিদেশি বিলাসবহুল গাড়ি কিনতেই হবে। এ ছাড়াও খরচের তালিকায় রয়েছে বাচ্চাদের স্কুলের ফি-ও। আন্তর্জাতিক স্কুল হলে সেটির পরিমাণ ৬৫ হাজার টাকা হবে। গাড়ির চালক ও গৃহসহায়কদের বেতন মিলিয়ে হাজার তিরিশেক টাকা ক্লাবে ও রেস্তরাঁয় যাওয়ার খরচ ২০ হাজার টাকা ধরেছেন তিনি। বাড়ির আনুষঙ্গিক সাজসজ্জার খরচ ১২ হাজার টাকা। বাদবাকি কেনাকাটা ও উপহারের খরচ মিলিয়ে ২৫ হাজার টাকা।
এই সমস্ত খরচ একসঙ্গে করলে তাঁর মাসিক খরচ প্রায় ৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। সেই খরচ করার জন্য মাসে ৭.৫ লক্ষ টাকা (কারণ করও দিতে হবে) উপার্জন করতে হবে। এর মানে হল বছরে ৯০ লক্ষ টাকার বেতন হতে হবে। পোস্টের শেষে বৈভব লিখেছেন এত টাকা রোজগার করলে তবেই আপনি কেবলমাত্র বেঁচে থাকতে পারবেন। বৈভব জানান, তাঁর কোনও বিমা নেই, কোনও সঞ্চয়ও নেই। শুধু মাসের খরচ জুগিয়ে চলতেই তাঁর নাভিশ্বাস উঠেছে। অনেকেই তাঁর পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এক জন লিখেছেন, ‘‘এটা ধনী মানুষের কান্না! সাধারণ মানুষ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে গোটা পরিবার চালাচ্ছে।’’ অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘যদি আপনার ৩ কোটি টাকার বাড়ি কেনার সামর্থ্য থাকে, তাহলে এই নাটক কেন?’’ এক জন বৈভবের সমর্থনে লিখেছেন, ‘‘গুরুগ্রামে বেঁচে থাকার জন্য প্রতি মাসে ৩ লক্ষ টাকা প্রয়োজন।’’