ছবি: সংগৃহীত।
রেল সফর আরামদায়ক করতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরার টিকিট কেটেছিলেন যাত্রীরা। কিন্তু ট্রেনে উঠে দেখলেন কাজ করছে না শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। বার বার ট্রেনের বাতানুকূল কোচের সমস্যার কথা জানালেও রেলের ব্যবস্থাপনা কর্মীরা তাতে মাথা ঘামাননি। এসি কোচের দামি টিকিট কিনেও যাত্রীদের গরমে হাঁসফাঁস করতে হচ্ছিল। টিকিট দেখতে আসা টিকিট পরীক্ষককেও এই নিয়ে অভিযোগ জানান এক তরুণী যাত্রী। সেই অভিযোগের জবাবে টিকিট পরীক্ষক যা পরামর্শ দেন, তা শুনে হতবাক হন যাত্রীরা। টিকিট পরীক্ষক ও যাত্রীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো। ভিডিয়োটি কোথায় তোলা হয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি। ভাইরাল ভিডিয়োটির সত্যতাও যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
যাত্রীদের অভিযোগ ছিল ট্রেনের অনেক কোচেই এসি ঠিকমতো কাজ করছে না। বার বার অভিযোগ করার পরেও ট্রেনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা মেরামত করা হয়নি। টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) কামরায় আসতেই তাঁর কাছে যাত্রীরা জানতে চান কখন কামরার এসি কাজ করবে। তার উত্তরে টিটিই জানান, রেলকে টুইট করতে। এসির সমস্যা সমাধান করার দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘রেলকে ট্যাগ করে অভিযোগ করুন।’’ এর পরে, অন্য এক যাত্রী বলেন, ‘‘ট্রেনটির সমস্ত কিছু ঠিকঠাক আছে কি না তা দেখা রেল কর্মচারীর দায়িত্ব। যখন এসি কাজ করছে না, তখন মেরামত করেই কোচ পাঠানো উচিত।’’ এর উত্তরে টিটিই যাত্রীদের আবারও রেলমন্ত্রীকে ট্যাগ করে টুইট করার পরামর্শ দেন। টিটিই স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, তিনি এসি মেরামতকারীকে ফোন করেছেন। কিন্তু তিনি বর্তমানে অন্য কোনও কোচে রয়েছেন। ট্রেনটি পুরনো হওয়ায় এসি ঠিকমতো কাজ করছে না বলেও জানা তিনি। যাত্রীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন, যখন এসির পরিষেবা ঠিক মতো দেওয়া হচ্ছে না, তখন এসি কোচের টিকিট কেন বিক্রি করা হচ্ছে? যাত্রীরা টিকিট পরীক্ষককে বিষয়টি রেলের আধিকারিকদের জানাতে অনুরোধ করেন। সেই কথা শুনে টিটিই জানান, কেবল যাত্রীরাই অভিযোগ জানাতে পারেন, কর্মীরা নন।
এক্স হ্যান্ডলে ‘খুরপেঁচ’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়োটি এখনও পর্যন্ত প্রায় ৯ লক্ষ বার দেখা হয়েছে। ভিডিয়ো দেখে রেল কর্তৃপক্ষের এই এই অবহেলার জন্য নেটাগরিকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক জন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘এমনিতেই বেশির ভাগ ট্রেন ১০-১২ ঘণ্টা দেরিতে চলে। তার উপরে এসিও কাজ করে না।’’ আর এক জন লিখেছেন, ‘‘যাত্রীরা পুরো টাকা দিয়ে টিকিট কেনেন, কিন্তু সুযোগ-সুবিধার নামে মেলে কেবল হতাশা।’’