ছবি: সংগৃহীত।
অবোলা প্রাণীদের প্রতি স্নেহ ও ভালবাসায় পূর্ণ তরুণের মন। দামি বা উন্নত জাতের কুকুরের পরিবর্তে পরিত্যক্ত প্রাণীদের প্রতি বেশি টান অনুভব করতেন তরুণ। মনে মনে স্থির করেছিলেন, অনাথ বা আশ্রয়হীন প্রাণীদের নিজের বাড়িতে এনে পুষবেন। তেমনই সুযোগ মিলল তাঁর। একটি পরিত্যক্ত কুকুরকে আদর করে নিজের বাড়িতে নিয়ে এলেন তিনি। স্থানীয় আশ্রয়স্থল থেকে একটি অনাথ কুকুরকে দত্তক নেন তরুণ। তাঁকে বাড়িতে আনার পর কুকুরটির দেহে একটি অদ্ভুত চিহ্ন লক্ষ করেন আশ্রয়দাতা তরুণ।
সেই চিহ্নটিকে রহস্যময় বা তাৎপর্যপূর্ণ বলে ধরে নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কুকুরের মালিক। পোষ্যের প্রতি ভালবাসা থেকে তিনি ঠিক করেন সেই অদ্ভুত চিহ্নটি হাতে স্থায়ী ভাবে রাখবেন। সেই ভাবনা থেকে সেই চিহ্নটি ট্যাটু করিয়ে ফেলেন তরুণ। তার পরই প্রকাশ্যে আসে একটি অদ্ভুত সত্য। সেই ট্যাটু দেখে তরুণের বন্ধু জানান এই চিহ্নটির আসল অর্থ। সেই অজানা তথ্য জানতে পেরে হতবাক হয়ে যান কুকুরের মালিক। সমাজমাধ্যমে এসে নিজের নির্বুদ্ধিতার কথা প্রকাশ করেন ওই তরুণ। তবে ঘটনাটি কোথায় বা কবে ঘটেছে তা জানা যায়নি।
সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে তিনি জানান তাঁর বন্ধু সেই ট্যাটু লক্ষ করে তাঁকে জানান, এই চিহ্নের কোনও আলাদা বিশেষ অর্থ বা তাৎপর্য নেই। এটি ছিল প্রাণীদের, বিশেষত কুকুরদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলিতে ব্যবহৃত সর্বজনীন প্রতীক। এটি বোঝায় যে একটি কুকুরকে নির্বীজকরণ করা হয়েছে। তরুণ নিজের অজান্তেই নির্বীজকরণ প্রতীকটি নিজের শরীরে এঁকে নিয়েছিলেন।
পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয় সমাজমাধ্যমে। তরুণের প্রতি সহানুভূতি এবং একই সঙ্গে বক্রোক্তি উড়ে এসেছে সমাজমাধ্যমে। কয়েক জন নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী পোষ্যের প্রতি তাঁর ভালবাসার প্রশংসা করেন। আবার কেউ কেউ রসিকতা করে লেখেন, ‘‘অতিরিক্ত ভালবাসার একটি উদাহরণ।’’