Bizarre

কী করে ১৬ হাজার পা হাঁটালেন অসুস্থ? ‘মিথ্যা’ বলে ছুটি নেওয়ায় বরখাস্ত করল সংস্থা, পাল্টা মামলা করে ১৪ লক্ষ টাকা আদায় কর্মীর

চেন নামে এক ব্যক্তি তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিতে এসে জানতে পারেন, কর্তৃপক্ষ তাঁকে ছাঁটাই করেছেন। অভিযোগ, তিনি মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে ছুটি নিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৫ ১০:৩১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

গোড়ালির আঘাতের জন্য অফিস থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। ছুটি চলাকালীনই তাঁকে অফিসে দেখা করার নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসার কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে এসে কর্মী জানতে পারেন তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ হিসাবে কর্তৃপক্ষ জানান, পায়ের অসুস্থতার ভান করেছেন কর্মী। তিনি যে দিন ছুটি নিয়েছেন সে দিন তিনি ১৬ হাজার কদম হেঁটেছিলেন বলেও দাবি করা হয়। তাই তাঁর পায়ে কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়। মিথ্যা বলে ছুটি আদায়ের অভিযোগ করা হয় কর্মীর বিরুদ্ধে। এর পরই সংস্থার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন কর্মী।

Advertisement

চিনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, জিয়াংসু প্রদেশের চেন নামের এক কর্মচারী তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। কর্মক্ষেত্রে নজরদারি এবং কর্মীদের উপর কত দূর পর্যন্ত নজরদারি করার অনুমতি দেওয়া উচিত, সেই নিয়ে মামলাটি বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। ২০১৯ সালের গোড়ার দিকে পিঠে আঘাত পাওয়ার পর চেন দু’বার ছুটির জন্য আবেদন করেছিলেন। হাসপাতালের নথি জমা দেওয়ার পর দু’টি আবেদনই মঞ্জুর হয়েছিল। সুস্থ হওয়ার পর চেন কাজে যোগ দেন। কিছু দিন পর তিনি পায়ে ব্যথা অনুভব করায় আবার ছুটির আবেদন করেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করে এক সপ্তাহ বিশ্রামের পরামর্শ দেন।

ছুটি চলাকালীন চেনের সংস্থার সন্দেহ হয়। সংস্থা চেনকে চিকিৎসার কাগজপত্র জমা দিতে বলে। কাগজপত্র জমা দিতে এসে চেন জানতে পারেন, কর্তৃপক্ষ তাঁকে ছাঁটাই করেছেন। অভিযোগ, তিনি মিথ্যা কথা বলে ছুটি নিয়েছেন। চেন আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। যুক্তি, তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত ছুটি বৈধ। এর পাল্টা জবাবে সংস্থা আদালতে সিসিটিভি ফুটেজ উপস্থাপন করে। সেই ফুটেজে দেখা যায়, চেন যে দিন পায়ের ব্যথার কথা বলেছিলেন, সে দিনই অফিসের দিকে দৌড়ে যাচ্ছিলেন। সংস্থা চেনের ফোনের চ্যাট রেকর্ডও শেয়ার করে যে চেন সে দিন ১৬ হাজার কদমেরও বেশি হেঁটেছিলেন। এটি প্রমাণ করে যে চেন আঘাতের ভান করেছিলেন। এমনই দাবি ছিল সংস্থার।

Advertisement

চেন আদালতকে জানান, এই প্রমাণগুলি অপ্রাসঙ্গিক। তিনি তাঁর পা ও পিঠের স্ক্যান রিপোর্ট ও চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন আদালতে জমা দেন। দু’দফা শুনানির পর আদালত সম্প্রতি জানায়, সংস্থার বরখাস্ত করার বিষয়টি অবৈধ এবং চেনের চিকিৎসা সংক্রান্ত নথিপত্র বৈধ। যথাযথ প্রমাণ ছাড়াই তাঁকে বরখাস্ত করে অন্যায্য কাজ করেছে সংস্থা। আদালত ১৪ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটিকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement