—প্রতীকী ছবি।
প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ মেটানোর জন্য আয়ার সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করেছিলেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে পুনর্মিলনের পর আয়াকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন সেই যুবক। প্রেমে প্রতারিত হয়ে প্রতিশোধ নিলেন আয়া। প্রাক্তন মালিককে ছুরি মেরে খুন করেন ওই আয়া। এক তুতো ভাইয়ের সঙ্গে শলা করে দু’জনে মিলে আঘাত হানেন তরুণের উপর। ছুরির আঘাতে মারা যান তিনি। সম্প্রতি এই ঘটনাটি ঘটেছে চিনের একটি শহরে। ধরা পড়ার পর তরুণী আয়া ও তাঁর ভাইয়ের উপর নেমে এসেছে শাস্তির খাঁড়া।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, শি নামের মৃত তরুণ ছিলেন এক জন ব্যবসায়ী। স্নাতকোত্তর পড়ার সময় হি নামের এক তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়। কয়েক বছর একসঙ্গে থাকার পর তাঁরা বিয়ে করেন ও এক সন্তান জন্মায় তাঁদের। ব্যবসায়ে উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন ঘটে শিয়ের। স্ত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন শি। সম্পর্কে অবনতি ঘটে ও শেষে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। মেয়ের হেফাজত পান শি। মেয়েকে দেখাশোনা করার জন্য লি নামের এক তরুণীকে নিয়োগ করেন ব্যবসায়ী।
বিবাহবিচ্ছেদের পর শি নিজের ভুল বুঝতে পারেন ও স্ত্রীর সঙ্গে মিটমাট করার চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু অহংবোধের কারণে স্ত্রীর কাছে এই প্রস্তাব রাখতে পারেননি। সে কারণে তিনি স্ত্রীর মনে ঈর্ষা জাগানোর পরিকল্পনা ফাঁদেন। মেয়েকে দেখাশোনা করার জন্য লিয়ের সঙ্গে ছদ্ম প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সরল লি ভেবেছিলেন, ধনী গৃহকর্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হলে ভবিষ্যৎ নিয়ে আর ভাবতে হবে না। শি দ্রুত তাঁর প্রেমে পড়ে যান এবং শীঘ্রই তাঁদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে।
শি প্রতিবেশীদের কাছে ও সমাজমাধ্যমে ছবি ছড়িয়ে দাবি করেন যে, তিনি লিয়ের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। এমনকি তাঁরা একটি প্রাক্বিবাহের ফটোশুটের ব্যবস্থাও করেন। এ সব কিছু করে প্রাক্তন স্ত্রীর মনে ঈর্ষা জাগাতে সফল হন তিনি। মেয়ের খোঁজ নেওয়ার অছিলায় শিয়ের বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেন হি। ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে সমস্ত ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়। দম্পতির পুনর্মিলন হয়। স্ত্রীকে ফিরে পেয়ে লিকে কাজ থেকে বরখাস্ত করে দেন শি। তাঁকে এই নাটকের অংশীদার হওয়ার জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে কিছু টাকাও দিতে চান।
প্রেমে প্রতারিত হয়ে প্রতিশোধ নিতে লি এক সন্ধ্যায় লাঠি দিয়ে শিয়ের মাথায় আঘাত করেন লিয়ের ভাই। লি ছুরি নিয়ে আঘাত করেন। লি তদন্তকারীদের বলেছিলেন যে, তিনি কেবল শিকে শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন। লিকে যাবজ্জীবন এবং তাঁর ভাইকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।