Delhi Restaurant

সংক্ষিপ্ত পোশাক পরলে তবে ঢোকা যাবে, সালোয়ার-কামিজ নৈব নৈব চ! রেস্তরাঁর তুঘলকি নিয়মে হইচই নেটপাড়ায়

পশ্চিমা পোশাকবিধি অনুসরণ না করার জন্য সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি দম্পতিকে, এমনই অভিযোগ সেই রেস্তরাঁর বিরুদ্ধে। ৩ অগস্টের এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানান দম্পতি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২৫ ১১:৩৫
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

রাতের খাবার বাইরে কোনও রেস্তরাঁয় গিয়ে খাবেন বলে ঠিক করেছিলেন দিল্লির এক দম্পতি। সেইমতো পীতমপুরা এলাকায় একটি রেস্তরাঁয় চলে গিয়েছিলেন তাঁরা দু’জনে। সালোয়ার-কামিজ পরা মহিলাকে দেখে রেস্তঁরাটি তাঁকে ভিতরে ঢুকতে বাধা দেয়। পশ্চিমা পোশাকবিধি অনুসরণ না করার জন্য সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি দম্পতিকে, এমনই অভিযোগ সেই রেস্তরাঁর বিরুদ্ধে। ৩ অগস্টের এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানান দম্পতি। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। সেই ভিডিয়োয় দম্পতিকে বলতে শোনা গিয়েছে যে তাঁদের পোশাকের জন্য রেস্তরাঁয় ঢুকতে বাধা দিয়েছেন কর্মীরা। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো। যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

Advertisement

ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে দম্পতিরা শালীন পোশাক পরে সেখানে খেতে গিয়েছেন। অভিযোগকারী ব্যক্তি টি-শার্ট এবং প্যান্ট পরে আছেন। আর তাঁর স্ত্রী হলুদ রঙের একটি সালোয়ার-কামিজ পরে আছেন। দম্পতি দাবি করেছেন যে রেস্তরাঁটি ভারতীয় সংস্কৃতি এবং এক জন মহিলাকে অপমান করেছে। ওই ব্যক্তি জানান, রেস্তরাঁটি তাঁদের প্রবেশ নিষেধ করেছে এবং সংক্ষিপ্ত পোশাক পরা অন্য লোকদের প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে এখানে ঢোকার নিয়ম নেই বলে তাঁদের জানান রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ।

অন্য দিকে, আরও একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে রেস্তরাঁর মালিক ও ম্যানেজার জানাচ্ছেন সেখানে পোশাকের কোনও বিধি ছিল না। গ্রাহকের সঙ্গে কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তাঁরা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত মানুষকে রেস্তরাঁয় প্রবেশের অনুমতি দেন। বিজেপির ক্যাবিনেট মন্ত্রী কপিল মিশ্র নিজের এক্স হ্যান্ডল থেকে দুটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। সেখানে রেস্তরাঁর মালিক ক্ষমা চেয়েছেন। ম্যানেজার স্বীকার করেছেন যে তাঁরা আর পোশাকের উপর ভিত্তি করে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করবেন না এবং ভারতীয় পোশাকে আসা গ্রাহকদের স্বাগত জানাবেন।

Advertisement

ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর রেস্তরাঁর আচরণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। ইনস্টাগ্রামে রেস্তরাঁর অফিসিয়াল পেজে নানা ধরনের মন্তব্যের বন্যা বয়ে গিয়েছে। এক জন নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন ‘‘ভারতে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। ভারতীয় পোশাক পরা গ্রাহকদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার দুঃসাহস।’’ অন্য এক জন লেখেন, ‘‘তাঁরা এখানে বিনামূল্যে খেতে আসেননি। লজ্জা হওয়া উচিত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement