ছবি: সংগৃহীত।
পায়ের উপর অটোর চাকা তুলে দিয়েছিলেন। এই অভিযোগে বচসা বাধে এক তরুণী ও অটোচালকের মধ্যে। তরুণীর সঙ্গে অটোচালকের বিবাদ এমন পর্যায়ে চলে যায় যে বাগ্যুদ্ধ পরিণত হয় মারামারিতে। রেগে গিয়ে তরুণী পা থেকে চপ্পল খুলে মারতে শুরু করেন অটোচালককে। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর বেলান্দুরের সেন্ট্রো মলের বাইরে। সেই ঘটনাটি ভিডিয়ো করে রাখেন অটোচালক। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়ো নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
‘এনসিএম’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, চালকের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েছেন ওই তরুণী। চপ্পল খুলে তা দিয়ে অটোচালককে বার বার মারছেন তিনি। সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে, অভিযুক্ত ২৮ বছর বয়সি তরুণীর নাম পঙ্খুরি মিশ্র। তিনি ও তাঁর স্বামী স্কুটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁর পা পিষে দেওয়ার অভিযোগ এনে অটোচালককে মারধর করেন তিনি। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এই লোকটি আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে। আমার পা পিষে দিয়েছে এবং তার পর ভিডিয়ো তৈরি করছে।’’
তরুণীর আচরণের বিরুদ্ধে বেলান্দু থানায় অভিযোগ জানান অটোচালক। বেলান্দুর পুলিশ তরুণীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। থানায় ডেকে পাঠানো হয় দম্পতিকে। পরে হাতজোড় করে সবার সামনে ক্ষমা চান তরুণী ও তাঁর স্বামী। দু’জনকে অটোচালকের পা ধরে ক্ষমা চাইতেও দেখা গিয়েছে অন্য একটি ভিডিয়োয়। তরুণীর দাবি তিনি অন্তঃসত্ত্বা। তাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। অটোটি তাঁদের স্কুটির খুব কাছে চলে আসায় অস্বস্তি বোধ করেছিলেন তাঁরা। ভিডিয়ো দেখে সমালোচনায় ফেটে পড়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ। এক জন এক্স ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “অন্তঃসত্ত্বা হলেও অন্যদের মারধর করার অধিকার তৈরি হয় না।” অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘প্রথমে গুরুতর ভুল করা এবং তার পর ক্ষমা চেয়ে তা পার পেয়ে যাওয়া এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।’’